দেহের অন্যান্য অঙ্গের মেদ ঝরে গেলেও কিছুতেই কমে না ভুঁড়ি। ছবি: শাটারস্টক
যে কোনও শারীরিক গঠনই নিজের নিয়মে সুন্দর। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমতে দেওয়া মোটেই ঠিক নয়। কারণ স্থূলতা ডেকে আনতে পারে একাধিক রোগ। আর তাই এখন অনেকেই শরীরের জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে জিমে যাচ্ছেন কিংবা ডায়েট করছেন। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, দেহের অন্যান্য অঙ্গের মেদ ঝরে গেলেও কিছুতেই কমে না ভুঁড়ি। মধ্যপ্রদেশ কমাতে সকালের কোন কোন অভ্যাসে বদল আনতে হবে?
জল খাওয়া: ভুঁড়ি কমাতে চাইলে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস জল খান। জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যাবে, বিপাকহার বেড়ে যায়, খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে।
সকালে ওজন মাপুন: সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট পরিষ্কার করে জল, চা, কফি কিংবা ওষুধ খাওয়ার আগেই ওজন মাপা উচিত। ওই সময়ে ওজন মাপলে অপাচ্য খাদ্যের বাড়তি ওজন দেখায় না যন্ত্রে। এই ভাবে ওজন মাপলে দেহের বাড়তি ওজন আসার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সকাল সকাল যদি দেখেন আপনার ওজন কমেছে, তা হলে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবেন, মানসিক ভাবেও চাঙ্গা হবেন।
ভুঁড়ি কমাতে সকালে উঠে চা-কফিতে চুমুক না দিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতেই শরীরচর্চা: ভুঁড়ি কমাতে হলে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা নয়। সকালে উঠে বাড়িতে কার্ডিয়ো করেও কিন্তু পেটের মেদ কমানো যায়।
গ্রিন টি খাওয়া: সকালে উঠে চা-কফিতে চুমুক না দিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে বিপাকহার বাড়ে, শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়, ফলে মেদ ঝরার প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
ভারী প্রাতরাশ: সকালে উঠে দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। প্রাতরাশটা ভারী করবেন। চেষ্টা করুন প্রাতরাশে যেন কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাট-ভিটামিন-মিনারেল যথেষ্ট থাকে। এতেই কিন্তু ভুঁড়ি কমবে। বাইরে বেরোলে দুপুরের খাবার বাড়ি থেকেই নিয়ে যান, বাইরের খাবার খাবেন না।