ঠিক পদ্ধতিতেই খেলে তবেই চায়ের গুণ পাবেন। ছবি: শাটারস্টক।
ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই গ্রিন টি-তে চুমুক দিচ্ছেন। বিপাক হার বাড়িয়ে দ্রুত মেদ ঝরাতে এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। পলিফেনল ও ফ্লাভেনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ এই চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের জন্যও দারুণ উপকারী এই চা।
কিন্তু গ্রিন টি কী ভাবে খাচ্ছেন, তার উপরেই নির্ভর করে এর গুণাগুণ। অতি লাভার আসায় মাত্রাতিরিক্ত গ্রিন টি যেমন খাওয়া ঠিক না, তেমনই খালি পেটে ঘুম থেকে উঠেই গ্রিন টি-তে চুমুক দেওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। জেনে নিন গ্রিন টি খাওয়ার সময়ে ঠিক ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে।
১) অনেকের ধারণা ভরপেট খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিন টি খেলে বেশি ক্যালোরি ঝরে, এই ধারণা মোটেই ঠিক নয়। প্রোটিন পরিপাক করার জন্য শরীরের একটা নির্দিষ্ট সময় লাগে। সেই সময়টা শরীরকে দিতে হবে। গ্রিন টি এই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাই খাওয়ার পরে পরেই এই চা খাবেন না।
২) সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাবেন না। খালি পেটে এই চা খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, ফলে হজমে গোলমাল শুরু হয়। তাই সকালে হালকা খাবার খেয়ে তার পরেই এই চা খান।
৩) গ্রিন টি খাওয়ার পরে পরেই ভুলেও কোনও রকম ওষুধ খাবেন না। ওষুধের মধ্যে থাকা রাসায়নিক যৌগ গ্রিন টি-র সঙ্গে বিক্রিয়া করে বদহজমের কারণ হতে পারে।
৪) অফিসে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োতে গ্রিন টি-তে চুমুক দিলে লাভ হয় না। আয়েশ করে ধীরে ধীরে এই চা খেলে তবেই বিপাক হার বাড়বে।
৫) গ্রিন টি খাওয়ার সময়ে পানীয়ের তাপমাত্রা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব গরম বা একদম ঠান্ডা চা খেলে উপকার পাওয়া যায় না। পুষ্টিবিদরা এই চা খাওয়ার সময়ে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।