দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তার উপর বেশি পোশাক চাপিয়ে রাখলে বরং শিশুর কষ্ট বাড়তে পারে। ছবি- সংগৃহীত
প্রচণ্ড গরম, আবার হঠাৎ বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই টানাপড়েনে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি হওয়া খুব সাধারণ বিষয়। ঘামে ভিজে জামা গায়ে শুকিয়ে কারও ক্ষেত্রে এই ঠান্ডা লাগা বেড়ে গিয়ে তা থেকে জ্বর পর্যন্ত হতে পারে। বাচ্চাদের শরীর খারাপ হলে এমনিতেই মা-বাবারা চিন্তায় পড়েন। তার উপর জ্বর না কমলে তো কথাই নেই। বিভ্রান্ত হয়ে কী করবেন বুঝতে না পেরে অনেক সময়েই এমন কিছু করে ফেলেন, যা আদতে বাচ্চাদের জন্য ক্ষতি করে। চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসগুলি অনেক সময়ই বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
১) গরম পানীয় খাওয়ানো
জ্বর এলে অনেকের মধ্যেই বাচ্চাদের গরম পানীয় খাওয়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, গরম পানীয় খেলে সাময়িক আরাম মিললেও শরীরের তাপমাত্রায় খুব হেরফের হয় না।
২) স্নান করতে না দেওয়া
জ্বর এসেছে মানেই স্নান বন্ধ। এই ভুলটি প্রায় সব অভিভাবকেরাই করে থাকেন। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, শুধু জ্বর নয়, যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। তাই স্নান না করলেও গরম জলে গা স্পঞ্জ করিয়ে দেওয়া উচিত।
৩) নিজে থেকে ওষুধ খাওয়ানো
সামান্য জ্বরই তো! এই ভেবে যদি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে ওষুধ খাওয়ান, হিতে বিপরীত হতেই পারে। বড়রা নিজেদের ক্ষেত্রে প্রায়শই এমন ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। তবে বাচ্চাদের জন্য এমন ভুল কিন্তু প্রাণ সংশয়ের কারণ হতে পারে।
৪) তাপমাত্রা না দেখেই ওষুধ দেওয়া
অনেক দিন থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়নি। তাই কোথায় রেখেছেন খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই বলে শিশুর গায়ে হাত দিয়ে গরম ঠেকলেই কিন্তু তাকে জ্বরের ওষুধ দেওয়া যাবে না।
৫) একাধিক গরমের পোশাক পরানো
জ্বর হয়েছে বলে শিশুকে আপাদমস্তক গরম পোশাকে মুড়িয়ে দেওয়াও কিন্তু কাজের কাজ নয়। চিকিৎসকেরা বলেন, একাধিক গরম পোশাক পরালেই যে জ্বরের সময় বাচ্চারা খুব আরাম পাবে, তেমনটা কিন্তু নয়। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তার উপর বেশি পোশাক চাপিয়ে রাখলে বরং শিশুর কষ্ট বাড়তে পারে।