অ্যাভোক্যাডোর হরেক গুণ ছবি: সংগৃহীত
অ্যাভোক্যাডো উৎপত্তিগত ভাবে মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার একটি ফল। তবে এখন আমাদের দেশেও এই ফল ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষত স্বাস্থ্যগুণের জন্য অনেকেই নিয়মিত খাচ্ছেন এই ফল। অ্যাভোক্যাডোর মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ফলের মধ্যে ফ্যাট জাতীয় উপাদান থাকা কিন্তু বেশ বিরল। তা ছাড়াও অ্যাভোক্যাডোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং ধমনীর স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যাভোক্যাডো বেশ উপকারী। আমেরিকার একটি গবেষণা বলছে, সপ্তাহে দুটি করে অ্যাভোক্যাডো খেলে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা কমে প্রায় ১৬ শতাংশ, প্রায় ২১ শতাংশ হ্রাস পায় করোনারি হার্ট ডিজিজের আশঙ্কা। তা ছাড়া অস্বাভাবিক হৃদ্স্পন্দন নিরাময় করতেও অ্যাভোকাডোর তুলনা নেই।
২। হজমশক্তি বাড়াতে ও ওজন কমাতে: একটি অ্যাভোকাডোতে ১৪ গ্রামের মত ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা কমে অনেকটাই। পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতেও সহায়তা করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৩। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে: অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন বি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট জারণ ঘটিত ক্ষয় রোধ করতে আর ভিটামিন বি শরীরকে রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অ্যাভাকাডোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক খনিজ উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪। অনিদ্রা প্রতিরোধে: অ্যাভোকাডোতে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ম্যাগনেশিয়াম অনিদ্রা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
৫। চোখ ভাল রাখতে: অ্যাভোকাডোতে থাকে লুটেইন, আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিন। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই উপাদানগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষত বার্ধক্যজনিত দৃষ্টি শক্তি হ্রাস রোধ করতে ক্যারোটিনয়েড খুবই উপযোগী।