ছবি: প্রতীকী
চোখে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু মনে হচ্ছে সারা গায়ে কী যেন কামড়াচ্ছে। হঠাৎই লাল হয়ে ফুলে উঠছে, এমন অস্বস্তি হচ্ছে যে স্থির হয়ে থাকাই দায়। বর্ষাকালে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। কখনও মনে হয় বর্ষার স্যাঁতসেঁতে বিছানাতেই বোধ হয় কোনও পোকামাকড় বাসা বেঁধেছে। তো কেউ আবার মনে করেন ঘামের পোশাকের মধ্যেই হয়তো কিছু লুকিয়ে রয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বকের এই অস্বস্তির জন্য কোনও পরজীবি নয়, বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতাই দায়ী। ঘাম, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় নানা ধরনের ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। বাতাসে উড়তে থাকে। এগুলি সাধারণত চোখে দেখা যায় না। তবে এই সমস্যা খুব গুরুতর কিছু নয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে বাড়িতেই।
১) নিম
স্নানের জলে কয়েকটি নিম পাতা আগে থেকে ফেলে রাখতে পারেন। আবার, নিম পাতা ফোটানো জল, তুলো করে গায়ে মাখতেও পারেন।
২) রসুন
রসুনের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই ছত্রাকনাশক যৌগ রয়েছে। ত্বকের উপর যদি সংক্রমণজনিত কোনও সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে কয়েকটি রসুন থেঁতো করে সেই রস লাগানো যেতে পারে।
৩) অ্যালো ভেরা
সংক্রমণজনিত কারণে ত্বকে কোনও রকম অস্বস্তি হলে, তা নিরাময় করতে পারে অ্যালো ভেরা। বাজার থেকে কেনা জেল বা গাছের পাতা থেকে সংগ্রহ করা শাঁস— সবই কাজ দেয়।
ছবি: প্রতীকী
৪) হলুদ
শুধু রূপচর্চায় নয়, কাঁচা হলুদের প্রদাহনাশক গুণ ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা দূর করে। কাঁচা হলুদ বাটা বা হলুদ গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে র্যাশের উপর লাগালে অস্বস্তি অনেকটাই দূর করতে পারে।
৫) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
বাইরে থেকে এসে হাত-পা ধোয়ার পরেও অনেক সময়ে অস্বস্তি থেকে যায়। গায়ে চুলকানি হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক কাপ জলে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। ওই মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে সেই মিশ্রণ নির্দিষ্ট জায়গায় মেখে রাখুন।