শাকের গুণে শরীর ভাল হবে। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু খেতে ভাল লাগে বলে নয়, শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে টাটকা শাকসব্জি খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। যে মরসুমে যা শাক পাওয়া যায়, সেই সব নিয়মিত খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রাচুর্যে ভরপুর এই সবুজ, টাটকা শাক। সব্জির পাশাপাশি তাই নিয়মিত কোনও না কোনও মরসুমি শাক খেতে বলা হয়। শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, ত্বক থেকে চুল— সবই ভাল রাখে শাকপাতা। কিন্তু কোন শাকের পুষ্টিগুণ কেমন, তা জানা আছে কি?
১) মেথি শাক
শীতকাল এলেই বাজারে মেথি শাকের আনাগোনা চোখে পড়ে। আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি-এর গুণে সমৃদ্ধ মেথি শাক, ডাল, তরকারি কিংবা পরোটাতে দিয়ে খাওয়া যেতেই পারে।
২) ধনে পাতা
শীতকালে গরম ভাতে ধনেপাতার চাটনি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদন রয়েছে ধনে পাতায়। চাটনি তো বটেই তরকারি কিংবা ডালে ধনে পাতা পড়লে, তার স্বাদ অন্য মাত্রা পায়।
৩) সজনে পাতা
সজনে ডাঁটার মতো, সজনে শাকও শরীরের জন্য উপকারী। পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর সজনে পাতা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। দক্ষিণ ভারতীয় অনেক রান্নাতেই দেওয়া হয়।
৪) লাল নটে শাক
প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর লাল নটে। এই শাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণও কম নয়। তাই ভাতের পাতে ঘুরিয়েফিরিয়ে এই শাকও খাওয়া যেতে পারে।
কুমড়ো শাক নানা প্রকার খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৫) কুমড়ো শাক
কুমড়ো বীজের মতোই, কুমড়ো শাকও নানা প্রকার খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট তো বটেই, সঙ্গে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগানও দিতে পারে এই শাক।