জীবনযাপনে সামান্য বদল এনে এবং একটু নিয়ম মেনে ডায়েট করলে এক মাসে তিন-চার কেজি ওজন ঝরানো অসম্ভব নয়। ছবি: শাটারস্টক।
সামনেই বিয়ে? তবে অনিয়মের জেরে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে ওজন। কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে শরীরে আনাচেকানাচে। বিয়ের আগে ওজন কমবে কী করে? সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ছে! হাতে যদি মাস খানেক সময় থাকে, তা হলে বিয়ের আগে চার-পাঁচ কেজি ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? আদৌ সম্ভব কি না ভাবছেন? জীবনযাপনে সামান্য বদল এনে এবং একটু নিয়ম মেনে ডায়েট করলে এক মাসে তিন-চার কেজি ওজন ঝরানো অসম্ভব নয়। চটজলদি ওজন ঝরাতে কোন কোন ডায়েটে ভরসা রাখতে পারেন, রইল সেই হদিস।
ড্যাশ ডায়েট: ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অনুযায়ী, ডায়াবিটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা ও হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখার সবচেয়ে কার্যকরী ডায়েট এই ড্যাশ ডায়েট। কারণ এই ড্যাশ ডায়েট অনুযায়ী স্যাচুরেটেড ফ্যাট ছেঁটে ফেলে প্রোটিন ও পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার নিয়ম। যা ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনই সাহায্য করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে। বেশি করে শাক-সব্জি, ফল খাওয়া, সোডিয়াম, চিনি, মিষ্টি পানীয় ও রেড মিটের পরিমাণ কমানো, ফ্যাটজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকাই এই ডায়েটের মূল লক্ষ্য।
চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধিনিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হয়। এই ডায়েট করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও ভাল থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার ঠিক থাকে। এতে ক্যালোরিও কম খাওয়া হয়। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ভিগান ডায়েট: মাংস তো বটেই, ডিম বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারই এই ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত নয়। সঠিক নিয়ম মেনে পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনি যদি ভিগান খাদ্যভাস মেনে চলেন, তা হলে কিন্তু শরীরে শক্তির ঘাটতি হবে না। শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য কাবলি ছোলা, পালং শাক, কুমড়োর বীজ ডায়েটে রাখতে হবে। বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলে শরীরে আয়রনের শোষণ ভাল হবে। তাতেই শরীরে পর্যাপ্ত শক্তির জোগান হবে। তবে যে কোনও ডায়েট মেনে চললে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়েই করা ভাল। না হলে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে।