কুমড়োর বীজ খাওয়া জরুরি কেন? ছবি: সংগৃহীত।
কুমড়োপটাশকে নিয়ে আমরা যতই ব্যঙ্গ করি, গুণের বাহারে কিন্তু অন্য কোনও সব্জির চেয়ে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই কুমড়ো। ত্বক-চুলের উন্নতি থেকে হজমশক্তি বাড়ানো, একাধিক উপকারিতা রয়েছে কুমড়োর। অথচ এই সব্জি কিন্তু অনেকেরই অপছন্দের। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে ইদানীং কুমড়োর বীজের কদর বেড়েছে। প্রাতরাশে হোক বা জিম করার পর টিফিনে এই বীজের দেখা মেলে। যাঁরা নিয়ম মেনে ডায়েট করেন, তাঁরাও রোজ নানা ধরনের বীজ খেয়ে থাকেন। জেনে নিন, কুমড়োর বীজ খেলে কী কী উপকার হবে শরীরের।
১) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর জ়িঙ্ক, যা অস্টিয়োপোরেসিসের মতো হাড়ের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
২) খাবার হজম করতেও দারুণ কার্যকরী এই বীজ। এতে থাকা উচ্চ মানের ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে।
৩) কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে। যা অবসাদ কাটিয়ে শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে। শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও এটি দারুণ উপকারী।
৪) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জ়িঙ্ক, ভিটামিন এ, বি আর কে, যা চুল উজ্জ্বল ও ঘন করে তুলতেও সহায়তা করে। এতে রয়েছে কিউকারবিটিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫) কুমড়োর বীজে রয়েছে সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান। যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখবেন, সকলের শরীর সমান নয়। কাজেই সব খাবার সবার সহ্য হবে এমন নয়। কোনও বীজ খেয়ে যদি শরীরে কোনও ধরনের সমস্যা হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আবার কোনও কিছুই অত্যধিক খাওয়া ভাল নয়। তাই ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।