বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরে কোনও মতে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। না ঘুমোলেও বিছানায় শুয়ে শুয়ে চলে মোবাইল ঘাটাঘাটির পর্ব। তবে ভরপেট খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ার এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। দুপুর হোক কিংবা রাত, ভরপেট খেয়ে বেশ কিছু ক্ষণ সচল থাকা জরুরি। তাই খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট থেকে ২০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাচলা করলে শরীরও ভাল থাকে। হজমের গোলমালও একেবারেই হয় না বললে চলে। ভরপেট খাওয়ার কেন জরুরি হাঁটাচলা করা?
১) ভারী খাবার খাওয়ার পরে শুয়ে পড়লে বদহজমের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বরং যদি হাঁটা যায়, তা হলে হজমশক্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে বদহজম বা অম্বলের ঝুঁকিও কমে।
২) হাজার চেষ্টা করেও মেদ জমা আটকাতে পারছেন না? খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের আনাচকানাচে মেদ আরও বাড়বে। তাই খাওয়াদাওয়া সেরে অন্তত খানিক ক্ষণ হাঁটুন।
৩) ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখেন? তা হলে কিন্তু হাঁটার বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে হৃদ্যন্ত্রও ভাল থাকে। এই অভ্যাসের ফলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটির অভ্যাস থাকলে অনিদ্রার সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ডায়াবিটিসে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদেরও খাওয়ার পর নিয়ম করে অন্তত ১০-১৫ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, হাঁটলে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
৫) অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটির অভ্যাস থাকলে কিন্তু অনিদ্রার সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে পারেন।