ওজন ঝরবে আয়ুর্বেদিক উপায়ে। ছবি: সংগৃহীত।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রোগবালাই ঠেকিয়ে রেখে শরীর চাঙ্গা রাখতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। আগে জেনে নেওয়া ভাল এই তিন ফল পৃথক ভাবে আমাদের শরীরের পক্ষে আদৌ কতটা উপকারী।
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি পেটের সমস্যা দূর করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দিতেও আমলকি বেশ উপকারী। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও আমলকির জবাব নেই। অন্য দিকে, হরিতকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এর ব্যহবার করা যেতেই পারে। বহেরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশির জোর বৃদ্ধি করতে আর হাড় মজবুত করতেও বহেরা বেশ উপকারী। নিয়ম করে ত্রিফলা খেলে কী কী লাভ হবে শরীরের?
১) বিপাকহার কমে গেলে ওজন বেড়ে যায়। বিপাক হার বৃদ্ধি করতে ত্রিফলার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে। এর পাশাপাশি হজমের সমস্যা থাকলেও এই মিশ্রণ কাজে আসতে পারে আপনার। সব মিলিয়ে মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্যানসারের মতো মারণরোগ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে ত্রিফলা।
বিপাক হার বৃদ্ধি করতে ত্রিফলার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও নিয়ম করে ত্রিফলা খেলে উপকার পেতে পারেন।
৪) দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছেন? ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত ত্রিফলা খেতে পারেন। ত্রিফলা অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৫) ত্বকের নানা সমস্যার দাওয়াই হতে পারে ত্রিফলা। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খেলে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এটি।
কী ভাবে খাবেন ত্রিফলা?
বেশ কিছু নামী সংস্থার ত্রিফলা বড়ি পাওয়া যায়। সেই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এ ছাড়াও ত্রিফলা চূর্ণ পাওয়া যায়। এক চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে সেই জল খেতে হবে। সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, এটি কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার অঙ্গ নয়। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।