কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে কোন ৫ ভুল করবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
কোলেস্টেরল আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। বয়স বাড়লেই যে এমন ক্রনিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তা কিন্তু নয়। রোজকার জীবনে নানা অনিয়মের কারণে অল্প বয়সেও শরীরে বাসা বাঁধছে এই রোগ। কোলেস্টেরলের হাত ধরে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এক বার যদি এই রোগ বাসা বাঁধে তা হলে জীবনযাপনে বদল আনা অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করানো দরকার। তবে এই ধরনের পরীক্ষা করানোর আগে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, না হলে পরিমাপে হেরফের হয়ে যেতে পারে।
১) উপোসের সময়: কোলেস্টেরলের মাত্রা কেমন, তা পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসকেরা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা উপোস করে থাকার পরামর্শ দেন। এত ক্ষণ একেবারে নির্জলা থাকতে কষ্ট হয় বলে অনেকে চা, জল খেয়ে ফেলেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রায় হেরফের ঘটাতে পারে। তাই নিয়ম মেনেই উপোস রাখা জরুরি।
২) মদ্যপানে লাগাম: রক্তে কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা জানতে হলে পরীক্ষার আগে আগে মদ খাওয়া যাবে না। তবে শুধু কোলেস্টেরল নয়, যে কোনও পরীক্ষা করাতে যাওয়ার অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে অ্যালকোহল না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৩) বেশি করে জল খাওয়া: রক্ত পরীক্ষা করানোর ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে চা, জল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু শরীর যাতে ডিহাইড্রেটেড হয়ে না যায়, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। তাই আগে থেকেই জল খেয়ে শরীর আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে কোলেস্টেরলের উপরেও। ছবি: সংগৃহীত।
৪) মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা: মানসিক চাপ বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে কোলেস্টেরলের উপরেও। কোলেস্টেরল নির্ধারণের রক্ত পরীক্ষার আগে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৫) চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়া: রক্ত পরীক্ষা করানোর আগে বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই ধরনের খাদ্যাভাস রক্তে বিভিন্ন উপাদানের মাত্রায় হেরফের ঘটাতে পারে। রক্ত পরীক্ষার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভাজাভুজি, অধিক ক্যালরি ও ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।