৫ স্বাস্থ্যকর খাবার বর্ষায় ভুলেও খাবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল মানেই সংক্রমণের মরসুম। তাই এই সময় শরীর চাঙ্গা রাখতে ডায়েটের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করলেই প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে সময় লাগবে না। আর এক বার প্রতিরোধশক্তি কমে গেলে শরীরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে যে কোনও রোগবালাই সহজে বাসা বাঁধে শরীরে। তাই এই মরসুমে সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি বর্ষাকালে যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। সেগুলি খেলে শরীরে নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। কোন খাবারগুলি বর্ষায় এড়িয়ে চলবেন?
সামুদ্রিক খাবার
বর্ষায় সামুদ্রিক মাছ না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে চিংড়ি, পমফ্রেট। কারণ এই সময় বৃষ্টির কারণে জলে প্যাথোজেন এবং ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেগুলি আবার মাছের দেহে প্রবেশ করে। ফলে এই ধরনের মাছ খেলে ডায়েরিয়া, পেটখারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাজাভুজি জাতীয় খাবার
বর্ষার মরসুমে টুকটাক মুখরোচক খাবার খেতে মন চায়। চায়ের সঙ্গে শিঙাড়া কিংবা গরম গরম আলুর চপ হলে তো জমে যায়। এই ধরনের খাবার বর্ষায় মনের যত্ন নিলেও, শরীরের প্রতি একেবারেই ভাল নয়। না। হজমের গোলমাল দেখা দেয়। পেটে নানা সমস্যা হয়। শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়ে।
বর্ষায় মাশরুম কম খান। ছবি: সংগৃহীত।
মাশরুম
ফ্রায়েড রাইসে কিংবা চাউমিনে কয়েক টুকরো মাশরুম দিলে খেতে মন্দ লাগে না। তবে বর্ষায় মাশরুম কম খান। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ভয় থেকেই যায়। যাঁদের গ্যাস-অম্বলের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের মাশরুম না খাওয়াই ভাল।
শাকসব্জি
বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় সবুজ শাকসব্জিতে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হয় বেশি। বর্ষায় মেথি, পালং, নটের মতো শাকগুলি খেলে পেটের গন্ডোগোলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বর্ষায় বাঁধাকপি, ফুলকপি কিংবা ব্রকোলির মতো সব্জিতেও পোকামাকড় বেশি দেখা যায়, তাই সেগুলিও না খাওয়াই ভাল। বর্ষায় ডায়েটে ঝিঙে, পটল, লাউয়ের মতো সব্জি বেশি করে খাওয়া যেতে পারে।
দই
দই খেলে শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা হয়। বর্ষায় এমনিতেই পরিবেশ ঠান্ডা থাকে। বিশেষ করে যাঁদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য বর্ষাকালে দই না খাওয়াই ভাল।