— প্রতীকী চিত্র।
সকালের জলখাবার হতে হবে রাজকীয়। তাই টক দই না থাকলেও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, দুধ, ফল থাকেই। সাধারণত দুধ-চিঁড়ে, দুধ-কর্নফ্লেক্স খাওয়ার পর, প্রোটিন জাতীয় খাবার, ফল খেয়ে থাকেন। শিশু, মহিলা বা বয়স্ক সকলেরই পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য দুধ খাওয়া প্রয়োজন। রাতে দুধ খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হয় বলে তা সকালেই খাওয়ার অভ্যাস করেছেন। কিন্তু সকালে জলখাবারের দুধ খেয়েও দেখলেন সেই এক সমস্যা। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধের সঙ্গে ফল, তেলমশলা দেওয়া খাবার বেমালুম খেয়ে হজম করে ফেলেন অনেকে। কিন্তু সকলের পরিপাক করার ক্ষমতা সমান নয়। তাই কিছু খাবার দুধের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল।
১) দই
দুগ্ধজাত খাবার হলেও দুধের সঙ্গে দই খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। গ্যাস, অম্বলের ধাত থাকলে তা আরও বেড়ে যেতে পারে এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে।
২) লেবুজাতীয় ফল
কমলালেবু, আঙুর, আনারস— এই ধরনের সাইট্রাস জাতীয় ফল কখনওই দুধের সঙ্গে খাওয়া যায় না। এই ফলগুলিতে ভরপুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে। ফলে থাকা অ্যাসিড দুধের প্রোটিনকে সহজে হজম হতে দেয় না। ফলে গ্যাস, পেটব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। দুধের সঙ্গে তো নয়ই, এমনকি, দুধ খাওয়ার আগে এবং পরেও টকজাতীয় ফল না খাওয়াই ভাল।
— প্রতীকী চিত্র।
৩) গুড়
দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে এমন অনেক খাবারই তৈরি করা হয়। যেগুলি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু পেটের গোলযোগ ঠেকাতে গেলে দুধের সঙ্গে গুড় না খাওয়া যাবে না একেবারেই। বদলে চিনি খাওয়া যেতে পারে।
৪) মাছ
হজমের সমস্যা থাকলে মাছ এবং দুগ্ধজাত খাবার একসঙ্গে খাওয়া যায় না। মাছ এবং দুধের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার একসঙ্গে পেটের মধ্যে বিষক্রিয়া করতে পারে। পেটের গন্ডগোল তো বটেই, সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
৫) নোনতা খাবার
নিমকি, চিপ্স, কুকিজ়ের মতো খাবার দুধের সঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা কিন্তু আটকানো যাবে না। উল্টে পেটফাঁপা, ইরিটেবল বাওয়েল্সের মতো সমস্যা হতে পারে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।