শরীরচর্চার পর কী খাবেন? ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। নানা জনে নানা রকম ব্যায়ামই করেন। কেউ দৌড়োন, কেউ হাঁটেন। কিন্তু শুধু ঘাম ঝরালেই তো চলবে না। জিম করার পর বাড়ি ফিরে উপযুক্ত খাবার না খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। রইল পাঁচটি এমন খাবারের হদিস, যা খাওয়া যেতে পারে শরীরচর্চার পর।
১। কলা: কলায় থাকে খনিজ পদার্থ ও প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। শরীরচর্চার সময়ে ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ নুন বেরিয়ে যায়। এই বেরিয়ে যাওয়া খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণ করতে কলা অত্যন্ত উপযোগী।
২। পিনাট বাটার: শরীরচর্চার পর পিনাট বাটার দ্রুত প্রোটিন ও ফ্যাটের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। পাশাপাশি, পিনাট বাটার দ্রুত পেট ভরিয়ে দেয়। ফলে শরীরচর্চার পর তীব্র খিদের বশে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কা কমে।
প্রতীকী ছবি।
৩। অমলেট: ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ডিমে এমন কিছু আমাইনো অ্যসিড যা পেশির শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে শরীরচর্চার পর নামমাত্র তেলে তৈরি অমলেট খেলে পেশি সতেজ হয়। চাইলে ওমলেটে দিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জিও। এতে বাড়বে পুষ্টিগুণের মাত্রা।
৪। স্মুদি: শরীরচর্চার পর দেহে প্রোটিনের মাত্রা বজায় রাখতে এখন অনেকেই হরেক রকমের প্রোটিন শেক খান। তবে যাঁরা এই ধরনের প্রোটিন খেতে চান না, তাঁরা খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্মুদি। স্মুদিতে মিশিয়ে নিতে পারেন হরেক রকমের ফল। শরীরচর্চার পর কম্বুচার মতো পানীয়ও বেশ উপযোগী।
৫। মুরগির মাংস: মাংসের থেকে সহজলভ্য প্রোটিন খুব কমই রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা সুঠাম ও পেশিবহুল দেহ চান, তাঁদের জন্য তেল-মশলা ছাড়া অল্প গোলমরিচ দিয়ে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। পেশি সুগঠিত করতে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস ও স্টু অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।
তবে মনে রাখবেন সব খাবার সকলের সহ্য হয় না। বিশেষ করে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার জন্য শরীরচর্চা করেন। তাই কোনও সমস্যা থাকলে, কী খাবেন, আর কী খাবেন না তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকদের থেকেই।