কোন খাবারে হবে অনিদ্রার উপশম ছবি: সংগৃহীত
দেহের সার্বিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। অনিদ্রা ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, স্নায়ুর রোগ, স্থূলতা ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মতো অজস্র সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৬ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। রইল এমন পাঁচটি খাবারের হদিশ যা দূর করতে পারে অনিদ্রার সমস্যা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। কাঠবাদাম: বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঠবাদামে থাকে ‘মেলাটোনিন’। এই মেলাটোনিন শরীরের জৈবিক ঘড়ি সচল রাখতে সহায়তা করে। অর্থাৎ জেগে থাকা ও ঘুমিয়ে পড়ার মধ্যে যে চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রিত হয় সঠিক ভাবে। ফলে সময় মতো ঘুম আসে। তা ছাড়া কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম অনিদ্রার সমস্যা কমাতে দারুণ উপযোগী।
২। টার্কির মাংস: ভারতে টার্কির জোগান খুব একটা অপ্রতুল নয়। টার্কিতে ‘ট্রিপ্টোফ্যান’ নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড মেলাটোনিন ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া টার্কি প্রোটিনের খুব ভাল একটি উৎস। কারও কারও মতে, ঘুমের ঘণ্টা খানেক আগে পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ভাল হয় ঘুম।
৩। কিউয়ি ফল: সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, চার সপ্তাহ ধরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত কিউয়ি ফল খেয়েছেন এমন মানুষদের ঘুম এসেছে অনেক বেশি দ্রুত। গবেষণা বলছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় ৪২ শতাংশ দ্রুত ঘুম এসেছে তাঁদের। বিশেষজ্ঞদের মতে কিউয়ি ফলে ‘সেরোটোনিন’ নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়। এই উপাদানটি ঘুম বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি কিউয়ি ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমে সাহায্য করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৪। দুধ ও কলা: দুধ কলা দিয়ে লোকে সত্যিই কাল সাপ পোষে কি না জানা নেই। কিন্তু দুধ কলায় পোষ মানতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। অন্তত বিজ্ঞান তাই বলছে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকে ট্রিপ্টোফ্যান, আর কলাতে ট্রিপ্টোফ্যান তো থাকেই, তার সঙ্গে থাকে ম্যাগনেশিয়ামও। কাজেই এই দুই উপাদানই সাহায্য করতে পারে ঘুমে।
৫। ভাত: বাঙালি আর ভাতঘুমের সম্পর্ক অতি প্রাচীন। কিন্তু তার পিছনে বাঙালির আলস্যের থেকেও বেশি রয়েছে বিজ্ঞান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাতের গ্লাইসেমিক সূচক খুব বেশি। আর উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খেলে তা দূর করতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। তবে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এটি খুব একটা উপযোগী পদ্ধতি নয়।