মরসুম বদলের সময় শিশুদের স্বাস্থ্যরক্ষার সহজ উপায় ছবি: সংগৃহীত
ঋতুরাজ বসন্ত নিজের রূপ বদলেছে অনেকটাই। মনোরম আবহাওয়ার বদলে বসন্ত মানেই এখন দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা। মরসুম বদলের এই সময়ে শিশুদের ঠান্ডা লাগা কার্যত প্রত্যেক বাড়ির সমস্যা। আর খুদেদের ঠান্ডা লাগা মানেই, তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় অনীহা ও কান্নাকাটি লেগেই থাকবে। এই সময় বাচ্চাদের সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচানোর জন্য রইল কিছু ঘরোয়া সমাধান।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। শাক-সব্জি: বাংলায় বসন্ত মানেই বাহারি সব্জির সমাহার। এখনও বাজারে মিলছে কড়াইশুঁটি ও ব্রকোলির মতো সব্জি, সঙ্গে এই সময় বাজারে মেলে হরেক রকমের শাক ও কন্দ-জাতীয় সব্জিও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লেটুস, পার্সলে থেকে গাজর, মূলোর মতো সব্জি অত্যন্ত কার্যকরী। তা ছাড়া ন্যাশপাতি, আঙুর, কলা প্রভৃতি ফলও শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগভোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।
২। খেলাধুলা: শীতকালে বেলা ছোট হয়ে আসে। কিন্তু বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্মের দিকে গেলে বেলা লম্বা হয় অনেকটাই। তবুও স্কুলের চাপ সামলে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় পায় না। কিন্তু শরীর ভাল রাখতে খেলাধুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। মোবাইল, ল্যাপটপের বাইরে বেরিয়ে ঘণ্টাখানেক ব্যাডমিন্টন খেলতে পারলে অনেক চনমনে থাকবে শরীর।
৩। উপযুক্ত পোশাক: যে হেতু দিন আর রাতের তাপমাত্রার তারতম্য অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এই সময়, তাই চেষ্টা করুন সন্তানের পোশাক নির্বাচনে যেন পরিমিতি বজায় থাকে। বেশি ভারী পোশাক বা বেশি হাল্কা পোশাকে সমস্যা দেখা দিতে পারে এই সময়।
৪। পরিছন্নতা: কোভিড কিছুটা কমলেও শরীর জীবাণুমুক্ত রাখার অভ্যাস অপরিহার্য। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই কচিকাঁচাদের মাথায় সে খেয়াল থাকে না। কাজেই সন্তানের পরিছন্নতার দ্বায়িত্ব নিতে হবে মা-বাবাকেই। সতর্ক থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই এড়ানো যায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ।