আপনিও কি সন্তানধারণ করার পরিকল্পনা করছেন? ছবি: শাটারস্টক।
৩০ এর আগে এখন মহিলারা সন্তানধারণ করার খুব বেশি পরিকল্পনা করেন না। তবে বাড়তি বয়সে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শারীরিক অসুবিধা দেখা যায়। ফলে অনেককেই সন্তানধারণের জন্য আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। অনেকে আবার আইভিএফ পদ্ধতি শুরু করার আগে বেশ ভয় ভয় থাকেন। এই পদ্ধতিতে মহিলাদের উপর অনেক বেশি ধকল পড়ে। অনকের আবার ধারণা, এই পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করলে নাকি যমজ সন্তানের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে কাদের যমজ সন্তান হবে, তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। আপনিও কি সন্তানধারণ করার পরিকল্পনা করছেন? জেনে নিন, আপনার যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি।
১) বর্ণ: ২০১৮ সালে আমেরিকার জন্মহারের সমীক্ষা অনুযায়ী যাঁদের গায়ের রং চাপা, তাঁদের ক্ষেত্রে যমজ সন্তানধারণ করার সম্ভাবনা বেশি।
২) ওজন: বিভিন্ন সমীক্ষার দেখা গিয়েছে যাঁদের ওবেসিটি রয়েছে, তাঁদেরও যমজ বা আরও বেশি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষত যাঁদের বডি মাস ইনডেস্ক (বিএমআই) ৩০ এর উপর থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আরও বাড়ে। অনেকের ধারণা, বাড়তি ওজন হলে সন্তান উৎপাদনের হার কমে যায়। সে ধারণা ঠিক নয়। ওবিসিটি নিয়ে সন্তানধারণ করলে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে, তাই চিকিৎসকরা গর্ভধারণের আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলেন।
৩) উচ্চতা: খুব বেশি লম্বা মেয়েদের যমজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেয়েদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে ১২৯ জন মেয়ে যাঁদের যমজ সন্তান হয় তাঁদের সকলেরই উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির কাছাকাছি ছিল। গবেষকদের মতে, উচ্চতার জন্য দায়ী কিছু হরমোন যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
বেশি বয়সে সন্তানধারণ করলে যমজ শিশুর সম্ভাবনা বাড়ে।
৪) জিন: আপনার পরিবারে কোনও যমজ ভাই বা বোন থাকলে, আপনারও যমজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক মহিলাদের শরীরে দুই বা তার বেশি সংখ্যক ডিম্বাণু উৎপাদন হয়। একে বলে হাইপার ওভিউলেশন। এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে মায়েদের ডিএনএ থেকে আসতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে যে যমজ সন্তনের জন্ম হয়, তাঁদের দেখতে এক রকম হয় না।
৫) বয়স: বেশি বয়সে সন্তানধারণ করলে যমজ শিশুর সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি হলে। মেয়েরা যত ঋতুবন্ধের দিকে এগিয়ে যান, ততই তাঁদের শরীরে কিছু হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। এবং তাতেই বাড়ে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা।