শারীরবৃত্তীয় চক্রে অনিয়মের জন্যই এমনটা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস ধরা পড়লেই জীবনে জুড়ে যায় ‘না’। সব প্রিয় খাবারেই যেন পড়ে যায় দাঁড়ি। মিষ্টি, আইসক্রিম তো দূর, সাধারণ ভাত-সব্জিতেও নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা। শরীরচর্চা, ডায়েট মেনে চললেও রাত জেগে সিরিজ় দেখা তো বন্ধ করা যাচ্ছে না! আর জেগে থাকলে টুকটাক মুখ চলাও স্বাভাবিক। চিকিৎসকের মতে, যাঁরা রাতে অনেক ক্ষণ জেগে থাকেন, তাঁদের শরীরে মূল শক্তির উৎপাদন হয় কার্বহাইড্রেট থেকে। শারীরবৃত্তীয় চক্রে অনিয়মের জন্যই এমনটা হয়। রাতে দেরি করে ঘুমোলেও সকালে কাজের তাড়ায় তাড়াতাড়ি উঠে পড়তে হয় অনেককেই। তাই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। যাঁরা অফিসে রাতের শিফ্টে কাজ করেন, তাঁদের ডায়বিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কিন্তু রাতে শুতে যাওয়ার আগে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, সে ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
১) মধ্যরাতে টুকটাক খাওয়া যাবে না
রাত জাগার ফলে স্বাভাবিক কারণেই রাতের খাওয়ার পরেও খিদে পেয়ে যায়। কিন্তু রাত ৮টার পরে ভারী খাবার বিপাক-হারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
২) ক্যামোমাইল চা
পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। রাতে শুতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে এই চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভাল।
৩) ভেজানো কাঠবাদাম
একান্তই যদি রাতে খিদে পেয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ৭টি ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে। ম্যাগনেশিয়াম এবং ট্রিপটোফ্যান নামক দু’টি যৌগে ভরপুর এই বাদাম মধ্যরাতের খিদের পাশাপাশি ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৪) মেথিদানা
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে আধ চামচ মেথিদানা গুঁড়ো বা মেথি ভেজানো জল খেলে ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) বজ্রাসন
রাতে খাওয়ার পর ১০ মিনিট বজ্রাসনে বসে থাকা অভ্যাস করুন। খাওয়ার হজম হওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।