রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের কোন উপসর্গগুলি দেখে সাবধান হবেন? ছবি: সংগৃহীত।
রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস শুধু হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা না, এর জেরে হাড়ে ব্যথার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যেও বেড়েছে এই সমস্যা। রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসে আকান্ত হলে রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এই রোগের জেরে হাড়ে প্রদাহ ও ব্যথা বাড়ে। হাত, কব্জি, পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। তবে রোগ অতিরিক্ত পর্যায় পৌঁছলে চোখ, ত্বক, ফুসফুস, হৃদ্যন্ত্র ও রক্তনালির উপরেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এই অসুখ রাতারাতি কমিয়ে ফেলা যায় না। কিন্তু তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সমস্যা। আপনার শরীরে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস বেঁধেছে কি না, বুঝে যেতে পারেন ৫ উপসর্গ দেখেই।
১) অতিরিক্ত ক্লান্তি মানেই ফুসফুসের সমস্যা কিংবা ক্যানসার নয়। অন্য অসুখেরও ইঙ্গিত দেয় এই সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে ক্লান্ত লাগা সঙ্গে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার পিছনে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস একটি বড় কারণ হতেই পারে।
২) শরীরের ভিতরে নানা রোগ জমে থাকতে পারে। তা জানান দেয় জ্বর। মাঝেমাঝেই বিনা কারণে জ্বর এলে, বা ভিতরে জ্বরজ্বর ভাব থাকলে সাবধান হওয়া ভাল।
৩) হাত-পা অবশ্য হয়ে যাওয়ায় এই রোগের আর একটি লক্ষণ। হাত এবং পায়ের জোরও কমে যেতে পারে এই সমস্যার জেরে।
মাঝেমাঝেই বিনা কারণে জ্বর এলে সাবধান হওয়া ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
৪) হাত-পায়ে ব্যথা লেগেই থাকে? তবেও সতর্ক হোন। রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস মানেই যে প্রচণ্ড ব্যথা হবে, এমন নয়। অনেক সময়েই এই অসুখ শুরু হয় কম ব্যথা দিয়েই। ফলে শুরুতেই সচেতন হওয়া জরুরি। সাধারণ বাতের ব্যথা হলে একটি হাঁটুতে সমস্যা হয়, রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই দু’টি হাঁটুর উপর প্রভাব পড়ে।
৫) রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের ক্ষেত্রে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে। সেই সঙ্গে হাড়ের সংযোগ স্থল যেখানে যন্ত্রণা হচ্ছে তার চারপাশে ত্বকের রংও পরিবর্তন হয়ে যায়। ত্বকের ওই জায়গাগুলিতে লালচে আভা চোখে পড়ে।