বিয়ের আর ক’দিন বাকি? ছবি: সংগৃহীত।
যতই ভ্যাপসা গরম পড়ুক, যতই ঘূর্ণিঝড় আসুক না কেন, বিয়ের দিন কিন্তু পিছোবে না। এই আবহাওয়াতেও বিয়ের কনেকে থাকতে হবে আকর্ষণের কেন্দ্রে। সে কারণে বিয়ের দিন সব দিক থেকে যাতে সুন্দর লাগে, তাই নিজের যত্ন নিতে শুরু করেছেন। সকলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন মাস ছ’য়েক আগে থেকে বিশেষ এই যত্ন নেওয়া শুরু করতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে কাজ সামলে তা করে ওঠা সম্ভব হয়নি। তাই ইন্টারনেট ঘেঁটে বিয়ের সপ্তাহখানেক আগে থেকে কড়া ডায়েট করতে শুরু করেছেন। পুষ্টিবিদরা বলেন, হঠাৎ করে অভ্যাসে পরিবর্তন আনলে তার প্রভাব খুব একটা ভাল হয় না। তাই বিয়ের আগে ডায়েটে এমন কোনও পরিবর্তন আনা উচিত নয়, যার প্রভাব চুল এবং ত্বকের উপরে পড়ে।
বিয়ের আগের ডায়েটে কী ধরনের পরিবর্তন আনা যাবে না?
১) তরল ডায়েট
শরীরে কার্বহাইড্রেট যাতে বেশি না যায়, তাই বিয়ের আগে হঠাৎ করে শক্ত খাবার বাদ দিয়ে জলীয় খাবার খেতে শুরু করেছেন। এই অভ্যাসে জলের ঘাটতি দূর হলেও শরীরের জন্য তা একেবারেই ভাল নয়।
২) উপোস করা
এক সপ্তাহে ৩ কেজি ওজন ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলেও কিন্তু বিপদ বাড়বে। ওজন ঝরানো সহজ নয়। সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। না খেয়ে ওজন ঝরাতে চাইলে দুর্বল হয়ে পড়বেন। শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে।
৩) নতুন ধরনের খাবার
বিয়ে তো এক দিনের অনুষ্ঠান নয়। ওই ক’টা দিন সুস্থ থাকা জরুরি। তাই মূল অনুষ্ঠানের সপ্তাহখানেক আগে ডায়েটে এমন কোনও খাবার যোগ করবেন না, যা আগে কখনও খাননি।
৪) কার্বহাইড্রেট বাদ
সুস্থ থাকতে গেলে সব রকম খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরে যাওয়া প্রয়োজন। প্রোটিন, ভিটামিন, বিভিন্ন ধরনের খনিজ এবং ফ্যাটের পাশাপাশি কার্বহাইড্রেটও জরুরি।
৫) শরীর চনমনে রাখার পানীয়
শক্ত খাবার খাচ্ছেন না বলে শরীরে তেমন জোর নেই। অথচ বিয়ের আগে প্রচুর কাজ থাকে। সেই সব একা হাতে সামলাতে হচ্ছে। বাইরে বেরিয়ে যাতে শরীর খারাপ না হয়, তাই বারে বারে এনার্জি ড্রিঙ্ক খাচ্ছেন। এতে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে এমন সব অভ্যাস আসল দিনটিকে মাটি করে দিতে পারে।