স্যালাড খেলেও বাড়তে পারে ওজন, সতর্ক থাকুন। ছবি: শাটারস্টক।
ফিশ ফ্রাই হোক কিংবা বিরিয়ানি, ভোজনরসিক বাঙালির পাতে স্যালাড না হলে তাদের খাওয়াটা ঠিক জমে না। ইদানীং অনেকেই আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক বাটি স্যালাডেই ভরসা রাখছেন। স্যালাড খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল দুপুরবেলা। প্রাতরাশ আর মধ্যাহ্নভোজন মধ্যবর্তী সময়টিই স্যালাড খাওয়ার উপযুক্ত। ওই সময়ে স্যালাড খেলে পেট ভরা থাকে। ফলে খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না। ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। মধ্যাহ্নভোজের আধ ঘণ্টা আগে স্যালাড খাওয়াই ভাল। কিন্তু ঠিকমতো স্যালাড বানাতে না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে! অনেকেই এক বাটি স্যালাড খেয়ে ফেলে ভাবেন, স্বাস্থ্যের উপকার হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে যেন পুষ্টির অভাব না হয়, সে দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। স্যালাড খেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে চললে তবেই উপকার পাবেন আপনি।
১) স্যালাড বানানোর সময়ে অনেকেই মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার না করাই ভাল। ফল, সব্জি কিংবা মাছ-মাংস-ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার শরীরে অনেকটা ক্যালোরি ঢুকবে। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাদ বাড়ানোর জন্য টক দই বা ‘গ্রিক ইয়োগার্ট’ ব্যবহার করতে পারেন।
২) এ ছাড়া, স্যালাডে সাদা নুন, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে, তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। সাদা নুনের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করতে পারেন। স্যালাডের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত নুন, চিনি যুক্ত সেই সব ড্রেসিং ঠিক কী পরিমাণে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৩) অনেকেই সব্জির স্যালাড বানানোর সময়ে সেদ্ধ করে নেন, কিংবা তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে স্যালাডের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
৪) স্যালাডের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। স্যালাডের পাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ না করাই ভাল। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য স্যালাডে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।
৫) স্যালাডের ড্রেসিংয়ে অলিভ ওয়েল পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন। স্যালাড সুস্বাদু না হলে অনেকেই খেতে চান না। তাই স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন রকম হার্বস দিতে পারেন।