শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ নির্ভর করে আছে হরমোনের উপরই। ছবি: শাটারস্টক
মহিলাদের মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা ভীষণ ভাবেই দেখা যায়। শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ নির্ভর করে আছে হরমোনের উপরই। তাই শরীর ভাল রাখতে শরীরে হরমোনের সমতা থাকা জরুরি। আচমকাই ওজন বৃদ্ধি, কিংবা ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, অত্যন্ত ক্লান্তিভাব কিন্তু হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, ব্রণ ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষা করে ভুল করে থাকেন অনেকে। শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলি কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: অফিসের কাজ ও পারিবারিক সমস্যা সব কিছু সামলাতে গিয়ে প্রচুর মানসিক চাপ নিয়ে ফেলছেন? চিন্তায় দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে না? অতিরিক্ত রাগ, চাপ, নেতিবাচক চিন্তা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
খাদ্যাভাসে অনিয়ম: শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া জরুরি। তা না করে প্রচুর ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, এখনই তা কমান। এ ছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টিজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, যার ফলে চুল পড়া ও ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস কিন্তু শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার বড় কারণ।
প্রতীকী ছবি
অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোনের ব্যাপক তারতম্য হয়। অনেক ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা বুঝতে মহিলাদের অনেকটা সময় লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্যের কারণে যে উপসর্গগুলি দেখা যায় যেমন গা গোলানো, বমি, পেটের সমস্যা, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া এই লক্ষণগুলি দেখে মহিলারা খানিকটা আন্দাজ করতে পারেন।
ঋতুবন্ধের সময়: ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হয়। ঋতুবন্ধের সময় যতই এগিয়ে আসে ততই এই সমস্যা বাড়তে থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।
মদ্যপান ও ওষুধ: অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস কিন্তু হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। কাজেই মদ্যপানে রাশ টানা ভীষণ জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দেওয়া ওষুধের অতিরিক্ত কারণেও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা দেখা দেয়। এ রকমটা হলে ওষুধে বদল আনতে হবে।