জিমে না গিয়ে, ঘাম না ঝরিয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন অফিসে বসে বসে কাজ। বেশির ভাগ দিন বাইরের মশলাদার খাওয়াদাওয়া। তার উপর দৈনন্দিন কাজের চাপ আর চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রায় অনিয়ম হয়েই চলেছে। আর এই অনিয়মের ফলে বেড়েই চলেছে শরীরের স্থূলতা। চিকিৎসকদের মতে, স্থূলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতেই পারে। পেটের মেদ বাড়লে, নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ঘরে-বাইরে কাজের চাপে শরীরচর্চারও সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোরও উপায় নেই। তা হলে কী করবেন? উপায় আছে। জিমে না গিয়ে, ঘাম না ঝরিয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। পাঁচ রকম পানীয়েই জব্দ হবে মেদ।
১) জিরের জল
জিরের ‘থার্মোকুইনান’ নামক যৌগটি পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। এ ছাড়াও জিরেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ পেটফাঁপা, গ্যাস, অম্বল কমাতে সাহায্য করে।
২) ইসবগুলের ভূসি
এই পানীয়ে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাবার হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুন কাজ করে এই ইসবগুলের ভূসি। সামগ্রিক ভাবে পেট ভাল থাকলে, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর।
৩) মৌরি ভেজান জল
মেদ ঝরাতে নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। মৌরি পেট ঠান্ডা রাখে। মৌরিতে থাকা যৌগগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে মৌরি ভেজান জল।
মৌরিতে থাকা যৌগগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ছবি- সংগৃহীত
৪) জোয়ান ভেজান জল
ভরপেট খাবার খাওয়ার পর একটু জোয়ান চিবিয়ে খেলে হজম হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। পেটের ভিতর কোনও রকম ক্ষত সারাতেও জোয়ানের ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদ মতে। এ ছাড়া পেট ফাঁপার সমস্যাতেও দারুন কাজ দেয় জোয়ান।
৫) সব্জির রস
গবেষকরা বলছেন, যাঁদের নিয়মিত শাক-সব্জি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁদের শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কম। কারণ, ফাইবার সমৃদ্ধ সব্জি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিপাক হারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বিভিন্ন সব্জির রস।