নুনের কেরামতিতেই জব্দ হবে আর্থারাইটিস ছবি: সংগৃহীত।
হাতে ক’দিন ছুটি পেলেই সুমদ্রে বেড়াতে যেতে মন চায়? বালির চড়ে বসে সামনে বিশাল নীল সমুদ্র ঠান্ডা হাওয়ায় মন যেমন প্রশান্ত হয়, তেমনই সমুদ্রের জলে গা ভেজালেও শরীর হয়ে ওঠে একেবারে চাঙ্গা! কেন বলুন তো? কারণ, নুন জলের রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ। শরীরের ব্যথা দূর করা থেকে ক্লান্তি কাটিয়ে ভিতর থেকে তরতাজা করে তোলা, সব রকম সাহায্য করে নুন জল। স্নানের জলে এক চামচ নুন মিশিয়ে দেখুন, তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
নুন জলে স্নান করলে কী কী উপকার পাবেন?
১) রক্ত সঞ্চালন বাড়ে: রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক ও সচল রাখতে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন এক চামচ নুন। এতে মানসিক চাপও কমে। সারা দিনের পরিশ্রম শেষে বাড়ি ফিরে নুন জলে স্নান করলে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে নিমেষে।
২) বয়স ধরে রাখতে সাহায্য: বার্ধক্য স্বাভাবিক এবং অনিবার্য। তবে রোজের নানা অনিয়মে সময়ের আগেই অনেকের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। অকালে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যায়। রোজ নুন জলে স্নান করলে ত্বকের জেল্লা ফেরে, ত্বক টানটান হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও নুন জল বেশ উপকারী।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও নুন জল বেশ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
৩) প্রদাহ কমাতে: অনেকের ত্বক গরমেও শুষ্ক দেখায়। ফলে সারা বছর ত্বকে সংক্রমণ, র্যাশ, ফুসকুড়ির সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে নুন জল দিয়ে স্নান করলে মুশকিল আসান হতে পারে।
৪) শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে এই খনিজের ঘাটতি হয়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়, ফলে হারের ক্ষয়, আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হয়। নুন জলে নিয়মিত স্নান করার অভ্যাস শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে বাত বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও দূর হয়।
৫) ঘুম ভাল হয়: অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। রাতে ঘুমোনোর আগে নুন মেশানো জলে স্নান করে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন।