নিয়মিত করলার রস খেলে অনেক শারীরিক সমস্যাই বশে থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে আমলকি কিংবা অ্যালো ভেরার রস মিশিয়ে খান অনেকে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিয়মে সামান্য বদল এনে যদি করলার রস খাওয়া যায়, তা হলে অনেক শারীরিক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। করলায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই। এ ছাড়া জ়িঙ্ক, পটাশিয়ামের মতো খনিজও রয়েছে এই সব্জিটিতে। রোগ প্রতিরোধ থেকে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ— করলার গুণে সবই সম্ভব। ভাজা, চচ্চড়ি কিংবা ঝাল— ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে করলার নানা পদ থাকে। কিন্তু রান্না করার সময়ে অতিরিক্ত তাপে সব্জিটির মধ্যে থাকা উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খেতে খারাপ লাগলেও কাঁচা সব্জিটির রস কিন্তু শরীরের পক্ষে উপযোগী।
কী কী সমস্যা দূরে থাকে করলার রস খেলে?
১) শীতের সময়ে গুড়ের মিষ্টি, পিঠেপুলি খাওয়া হয়েই থাকে। কিন্তু এ সময়ে যদি সকালে এক গ্লাস করলার রস খাওয়া যায়, তা হলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা।
২) শরীরের সব দূষিত পদার্থও বার করে দেয় করলার রস। সকালে এক গ্লাস করলার রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়।
৩) করলার রস হজমশক্তিও বাড়ায়। রোজ সকালে করলার রস খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। খিদে বাড়ে। বাড়ে বিপাকহার।
৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করলার রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলি ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। স্তন, লিভার এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে কার্যকরী করলার বীজ থেকে নিষ্কাশিত তেল।
বাড়িতে করলার রস বানাবেন কী করে?
দু’টি করলা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তার পর সব বীজ ছাড়িয়ে নিন। এ বার একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন করলা। এক কাপ জল দিন তাতে। সঙ্গে দিন এক চিমটে বিট নুন, গোলমরিচ, হলুদ, আদাবাটা। খাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন।