শরীরের খেয়াল রাখতেও এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
শীতের দুপুরে যদি পাতে পড়ে গরম ধোঁয়া ওঠা ওল-চিংড়ি, তার চেয়ে ভাল আর কিছু হয় কি? ওল শীতকালীন সব্জি হলেও, এখন সারা বছরই বাজারে দেখা পাওয়া যায় এর। ওল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। ওল-চিংড়ি খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি পদ। তবে চিংড়ি ছাড়াও মাছের মাথা দিয়েও ওল রাঁধেন অনেকেই। যে ভাবেই ওল পাতে পড়ুক, রসনাতৃপ্ত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে ওল যে শুধু স্বাদের যত্ন নেয়, তা কিন্তু নয়। শরীরের খেয়াল রাখতেও এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার।
ওলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। এ ছাড়াও ওলে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে শরীর চনমনে রাখা— সবেতেই ওলের ভূমিকা অনবদ্য। ওলের মধ্যে রয়েছে এমন কিছ স্বাস্থ্যগুণ, অনেকেই যেগুলির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন। রইল ওল খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা।
প্রদাহনাশক হিসাব
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ ওল শরীরের বেশ কিছু সমস্যার নিমেষে সমাধান করে। তার মধ্যে অন্যতম হল প্রদাহজনিত নানা সমস্যা দূর করা। শরীরে কোনও প্রদাহের সৃষ্টি হলে ওলের গুণে তা নিরাময় হওয়া সম্ভব। এ ছাড়া ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, স্থূলতার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ওল দারুণ উপকারী। এই সব্জির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে ক্রনিক প্রদাহ সহজে দূর করে।
যে ভাবেই ওল পাতে পড়ুক, রসনা তৃপ্ত হবেই। ছবি: সংগৃহীত
ক্যানসার প্রতিরোধে
ওলে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। মলাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে রোজের পাতে রাখতে পারেন ওল। বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত থাকতে ওলের মতো ক্যানসার প্রতিরোধী সব্জির উপর ভরসা রাখা জরুরি।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
আধুনিক জীবনযাত্রায় নানা কারণে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা বে়ড়েই চলেছে। ওল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এই সব্জিতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এতে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। ফলে হজমশক্তি বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
গ্যাসের সমস্যা কমাতে
রোজের জীবনে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই রয়েছে। শরীরের খেয়াল রাখতে ওল কিন্তু উপকারী ভূমিকা পালন করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরাও রোজকার পাতে রাখতে পারেন ওল।