দীপিকা নিজেও জীবনের এই বিশেষ দিনটি নিয়ে উত্তেজিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
৯৫তম অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে এ বছর একমাত্র ভারতীয় হিসাবে উপস্থাপকের ভূমিকায় আলো ছড়ালেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রীর পরনে ছিল লুই ভিতোঁর কালো রঙের বল গাউন, হাতে কালো দস্তানা। গলায় কার্টিয়ারের হিরের নেকলেসের সঙ্গে পোখরাজের লকেট। হাতে হিরের ব্রেসলেট ও আংটি। সঙ্গে মেসি বানে দীপিকার সাজ ছিল অনন্য! খুব বেশি চড়া মেকআপ নয়, হালকা বেস, ন্যুড লিপস্টিক আর উইঙ্গড আইলাইনার দিয়েই দীপিকা সেরেছেন সন্ধ্যার সাজ! ঠিক যেন আশির দশকের হলিউডের অভিনেত্রীর নজরকাড়া বেশ।
যে দিন থেকে অস্কার উপস্থাপকদের তালিকায় দীপিকার নাম প্রকাশিত হয়েছে, শুরু হয়েছে চর্চা। অস্কারে কী পরবেন, কী ভাবে সাজবেন, কোন পোশাকশিল্পীর পোশাক পরনে উঠবে নায়িকার, তা নিয়ে কৌতূহলী হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। ধরে নেওয়া যায়, দীপিকা নিজেও জীবনের এই বিশেষ দিনটি নিয়ে উত্তেজিত ছিলেন। পরিকল্পনা করেছেন, প্রস্তুতি নিয়েছেন সময় নিয়ে।
তবে দীপিকা যে শুধু সাজের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, এমন কিন্তু নয়। এমন গুরুত্বপূর্ণ সন্ধ্যায় ফিট থাকাও জরুরি বলে মনে করেছিলেন। তাই মন দিয়েছিলেন শরীরচর্চায়। দীপিকার ব্যক্তিগত ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা সোমবার সকালে নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় তেমনই কিছু প্রমাণ মেলে ধরেছেন।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নেপথ্য সেরা মৌলিক গানের বিভাগে অস্কারপ্রাপ্ত ‘নাটু নাটু’ গান বাজছে। আর দীপিকা মন দিয়ে শরীরচর্চা করেছেন। হাতা কাটা সাদা টি-শার্ট, আঁটসাঁট প্যান্ট, উঁচু করে বাঁধা চুল— এমন বেশেই শরীরচর্চায় মগ্ন নায়িকা। একের পর এক বিভিন্ন শরীরচর্চা করে চলেছেন তিনি। অস্কারের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতি দিন সকাল ৬.৩০টায় জিমে আসতেন দীপিকা। তার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে চলত কসরত। নিজে থেকে ক্লান্ত হয়ে না পড়লে, একই ভাবে করে যেতেন শরীরচর্চা। ইয়াসমিন তাঁর ভিডিয়োর নীচে লিখেছেন, ‘‘অস্কারের আগে শরীরচর্চা তো জরুরি তাই না?’’
দীপিকা যে ফিটনেস নিয়ে অতিমাত্রায় সচেতন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সারা বছরই তিনি এমন কঠোর শরীরচর্চার মধ্যে দিয়ে যান। তবে অস্কারের বিষয়টি আলাদা। দীপিকার সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক। তাই সেই অনুষ্ঠানে নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই পরিশ্রম এবং প্রস্তুতি কোনও ফাঁক রাখতে চাননি। তাঁর পরিশ্রম যে বিফলে যাইনি, রবিবার সন্ধ্যায় দীপিকাকে দেখলেই তা বোঝা গিয়েছে।