শরীরচর্চা নিয়ে কোনও রকম আপস করেন না মাসাবা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত
ফ্যাশন, রূপচর্চা, অভিনয় এবং শরীরচর্চা— সব বিষয়ই তাঁর প্রবল আগ্রহ। কাজ ও সম্পর্কে যেমন মন দেওয়া জরুরি, তেমনই জরুরি স্বাস্থ্যরক্ষার কথা ভাবা। এমনই বক্তব্য পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্তের। শরীরচর্চার নানা টোটকা ভক্তদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন তিনি। শরীরচর্চা নিয়ে কোনও রকম আপস করেন না তিনি।
ফিট থাকা মানে কিন্তু কেবল মেদ ঝরানো নয়। শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের প্রতিই সমান নজর দিতে হবে। সম্প্রতি মাসাবার ফিটনেস ট্রেনার অপূর্ব মাথুর ইনস্টাগ্রামে ভাগ করেছেন মাসাবার শরীরচর্চার একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে কী ভাবে তিনি নিজের বাহুজোড়ার শক্তিবৃদ্ধির উপর জোড় দিচ্ছেন।
প্রশিক্ষকের কড়া নজরদারিতে ব্যায়ামে মগ্ন মাসাবা। হাতে ওজন ধরে পনেরো সেকেন্ড সাইড রেইজ, পনেরো সেকেন্ডের বিরতির পর আবার পনেরো সেকেন্ড ফ্রন্ট রেইজ, পনেরো সেকেন্ডের বিরতির পর ফের তিরিশ সেকেন্ড রিয়ার ডেল্ট ফ্লাই, তিরিশ বার ব্যামার কার্ল এবং এবং অবশেষে তিরিশ বার স্কাল ক্রাশার করলেন মাসাবা!
তবে মাসাবার প্রশিক্ষক বারবার সতর্ক করেছেন ওজন তোলার ব্যাপারে। যতটা ভার ১৫ সেকেন্ড ধরে রাখতে পারবেন ততটাই ভার তুলুন।
নেটমাধ্যমে মাসাবার ফিটনেস ভিডিয়োর ছড়াছড়ি। কখনও তিনি যোগে মন দিয়েছেন, কখনও আবার জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন— এমন মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দি করে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামেই মাসাবা জানিয়েছিলেন তাঁর রোজের স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলে তাঁর শরীরচর্চা। যোগাভ্যাস করেন, হাঁটতে বেরোন, ব্যায়ামও করেন। সপ্তাহে কাজে দিনে বাইরের কেনা খাবারও খান না তিনি। দু’বেলা শুধু বাড়ির রান্নার উপরেই ভরসা রাখেন। লিখলেন, ‘উৎসব-অনুষ্ঠান কিংবা মানসিক চাপ, কোনও কিছুই আমার এই নিয়ম ভাঙতে পারে না’। দশ বছর ধরে এই নিয়ম মেনে চলায় তাঁর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ধীরে ধীরে কমেছে। এমনকি পিসিওডি-র মতো অসুস্থতাও এখন নিয়ন্ত্রণে। এর জন্য এখন আর ওষুধ খেতে হয় না মাসাবাকে।
তাই বলে কি মাসাবা আনন্দে নেই? বাইরের খাবার খান না? এমনও নয়। প্রতি সপ্তাহান্তে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে পছন্দের খাবার ও পানীয় নিয়ে আনন্দে মাতেন। সকল মেয়েকে মাসাবার পরামর্শ, নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কড়া হওয়া প্রয়োজন। মেয়েদের অনেক সময়ে হরমোন সংক্রান্ত নানা সমস্যা হয়। তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কিন্তু শরীরচর্চা।