Fitness Tips

জলকাদা পেরিয়ে জিমে যেতে ইচ্ছা করে না? নিজেকে ফিট রাখতে কী করবেন, কী নয়?

বর্ষাকালে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। তা না হলে মরসুমি অসুখ-বিসুখের সঙ্গে লড়াই করা সহজ নয়। বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে বেশি নজর দিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১১:৩১
Share:

বর্ষায় ফিট থাকার নিয়মকানুন। ছবি: শাটারস্টক।

শুধু শীতকাল নয়, বর্ষাতেও অনেকের ওজন বেড়ে যায়। এর অন্যতম কারণ হল শরীরচর্চায় আলসেমি। ঝিরিঝিরে বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়ায় জিমে তো দূর, বিছানা থেকে নেমে ব্যায়াম করতেই ভাল লাগে না। অথচ বর্ষাতেই রোগবালাইয়ের আশঙ্কা বেশি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা জরুরি। তা না হলে মরসুমি অসুখ-বিসুখের সঙ্গে লড়াই করা সহজ নয়। বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে বেশি নজর দেওয়া জরুরি। তেমনই কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

Advertisement

নিজেকে ফিট রাখতে কী করবেন?

১) সারা বছর সকালবেলা উঠে জিমে গেলেও বর্ষায় জলকাদা পেরিয়ে তা একেবারেই ইচ্ছে করে না। তেমন হলে শরীরচর্চা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। বাড়িতেই শরীরচর্চা করতে পারেন। স্কিপিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেও অনেকটা সুফল পাওয়া যায়। তবে বাড়িতে শরীরচর্চা করলেও জিমের পোশাক পরা জরুরি। তাতে আলাদা করে একটা চনমনে ভাব আসে শরীরে।

Advertisement

২) ভারী শরীরচর্চা কিংবা লাফালাফি করা ছা়ড়াও যোগাসন করতে পারেন। যোগাসন খুবই ফলদায়ক। জিমে ঘাম ঝরিয়ে যা উপকার পাওয়া যায়, আধ ঘণ্টার যোগাসন করলেও একই সুফল মেলে।

৩) বর্ষায় তেষ্টা কম পায়। তাই জল খাওয়ার কথা মনেও থাকে না। কিন্তু এমন করলে চলবে না। বরং এই মরসুমে বেশি করে জল খেতে হবে। ১৫ মিনিট অন্তর জল খান। রাস্তায় বেরোলে সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। অফিসের ডেস্কেও জল রাখুন।

৪) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এমন খাবার বেশি করে খান। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। তাই হলুদ দুধ, পুদিনা চা, আদা, রসুন, বেশি করে খান। এগুলি রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমায়।

বর্ষায় বেশি করে জল খেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

কী করবেন না?

১) বাইরের খাবার একেবারেই খাবেন না। বিশেষ করে ফুচকা, শিঙাড়া, ব়়ড়া পাও, চাটের মতো খোলা জায়গায় বিক্রি হওয়া খাবার থেকে দূরে থাকুন। এ ধরনের খাবার থেকে পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। পেটের স্বাস্থ্যে ভাল না থাকলে ফিট থাকা সম্ভব নয়।

২) শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে যত কম থাকা যায়, ততই ভাল। বাতানুকূল যন্ত্রের আবহে থাকলে শুধু শরীর নয়, এর প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলেও। সেই সঙ্গে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে সর্দি-কাশি, জ্বরের ঝুঁকিও থেকে যায়।

৩) সব্জি খান বেশি করে। তবে শাকপাতা এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ এই মরসুমে শাকপাতায় নানা ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু, পোকামাকড় বাসা বাঁধে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই এ ধরনের খাবার খাওয়ার আগে একটু সতর্ক হওয়া জরুরি। একান্ত যদি খেতে হয়, তা হলে রান্না করার আগে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement