নাক বা কানে কিছু ঢুকলে থাকতে হবে সতর্ক ছবি: শাটরস্টক।
নাক বা কানে আচমকা কিছু ঢুকে গেলে তড়াক করে লাফিয়ে ওটাই দস্তুর। কানে সুড়সুড় করলে যেমন তীব্র অস্বস্তি হয়, তেমনই নাকে কিছু ঢুকলে শুরু হয় হাঁচি-কাশি। শিশুদের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা তো আরওই বেশি। কিন্তু পোকা-মাকড় থেকে ছোট কোনও বস্তুর টুকরো, যাই ঢুকুক না কেন, নাক আর কানের মতো সংবেদনশীল জায়গার জন্য তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এমন ঘটনা ঘটলে কী করবেন এবং কী করবেন না?
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
আক্রান্ত ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। কানে যা ঢুকেছে, সেটি জীবন্ত পোকা-মাকড় নাকি জড় বস্তু, সেটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জড় বস্তু হলে তাড়াহুড়ো না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নিজেরা ডাক্তারি করতে গেলে যদি কানের পর্দা ফুটো হয়ে যায়, তা হলে কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। অন্য দিকে, যদি পোকা-মাকড় ঢুকে থাকে এবং তীব্র অস্বস্তি অনুভূত হয়, তবে জরুরি ভিত্তিতে দু’-এক ফোঁটা অলিভ ওয়েল ধীরে ধীরে কর্ণকুহরে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন, এ ক্ষেত্রেও যত দ্রুত সম্ভব নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন ততই মঙ্গল।
নাকে জড় পদার্থই ঢুকুক বা পোকা-মাকড়, বাড়িতে সেটিকে বার করার চেষ্টা করা একেবারেই উচিত নয়। ক্ষেত্র বিশেষে ঢুকে যাওয়া বস্তু হাঁচির সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু না বেরোলে অকারণে খোঁচাখুঁচি করলে যদি বস্তুটি কোনও কারণে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে, তবে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্ঘটনা বেশি দেখা গেলেও সতর্ক না থাকলে যে কোনও বয়সের মানুষেরই সমস্যা হতে পারে। অস্থির হয়ে চেঁচামেচি-কান্নাকাটি না করে যত দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া যায় ততই ভাল।