Sinus

Sinus Treatment: সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন? কোন ঘরোয়া টোটকায় জব্দ হবে রোগ

কখনও কাঠফাটা রোদ্দুর কখনও আবার ঝমঝম করে বৃষ্টি— মরসুম বদলের সময়ে সাইনাসের সমস্যা নিয়ে ভুগতে হয় অনেককেই। কোন পথে সমাধান?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২২ ০৭:১৪
Share:

সামান্য নিয়মের এ দিক ও দিক হলেই সাইনাসের সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। ছবি: সংগৃহীত

প্রবল মাথা যন্ত্রণা, সারা ক্ষণ নাক-মাথায় ভারী ভাব এমনকি ব্যথার জেরে জ্বর চলে আসা— সাইনাসের এই সমস্যাগুলির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। কখনও কাঠফাটা রোদ্দুর কখনও আবার ঝমঝম করে বৃষ্টি— মরসুম বদলের এই সময়ে সাইনাসের সমস্যা নিয়ে জেরবার হওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সামান্য নিয়মের এ দিক ও দিক হলেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।

Advertisement

সাইনাস মাথার এমন একটি অংশ, যার কাজ নাকের ভিতর দিয়ে বাতাস চলাচলে সাহায্য করা। কোনও কারণে এই সাইনাসের ভিতরে সংক্রমণ হলে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন তীব্র মাথাব্যথা হয়। শ্বাসকষ্টও হতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে।

Advertisement

এই অসুখ হানা দিলে নিয়ম মেনে কিছু ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে ঠিকই। তবে, সারা বছর বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এটা ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই। জেনে নিন সে সব।

১) সাইনাসের সমস্যার সহজ সমাধান অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়া। বেশি করে জল খেলে সাইনাসের মধ্যে জমা ময়লা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাতে নাক পরিষ্কার হয়। ব্যথা কমে। বেশি করে তরল খাবার খেলেও এই সমস্যা কমে।

প্রতীকী ছবি

২) সাইনাসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে একটি বিশেষ পানীয় বানিয়ে নিতে পারে। এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার, অল্প আদা কুচি, লেবু, অল্প গোলমরিচ, হাফ চামচ হলুদ, তিন-চার কোয়া রসুনের মিশ্রণ এক কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানীয়টি ঠান্ডা করে চায়ের মতো চুমুক দিয়ে খান। নিয়মিত এই পানীয় খেলেও সাইনাসের ব্যথা কমবে। প্রয়োজনে এতে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতে আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে পানীয়টি।

৩) সর্দি-কাশির সমস্যা কমাতে অনেকেই ভাপ নেন। গরম জল পাত্রে রেখে, তোয়ালে দিয়ে মাথা চাপা দিয়ে সেই পাত্র থেকে ভাপ নেন। এই গরম জলেই কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাসের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতেও সাইনাসের ব্যথা কমবে।

৪) ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক দুই ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল আঙুলে নিয়ে নাকের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। এতে আরাম পাবেন। ঘুমানোর সময় এসি চালানোর অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করুন। প্রয়োজনে ঘুমের ঘণ্টাখানেক বা ঘণ্টাদেড়েক আগে এসি চালিয়ে নিয়ে ঘর ঠান্ডা করে তার পর ফ্যান চালিয়ে শুতে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement