স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণের এমন আশ্চর্য মেলবন্ধন খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত
পায়েস কিংবা ফ্রায়েড রাইস— খাবার স্বাদে, গন্ধে ভরিয়ে তুলতে পেস্তার জুড়ি মেলা ভার। চকোলেট, আইসক্রিম খাওয়ার সময় এক টুকরো পেস্তা মুখে পড়লে অনুভূতিটাই বদলে যায় যেন। ড্রাই ফ্রুট হিসাবেও পেস্তা খাওয়ার চল রয়েছে। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণের এমন আশ্চর্য মেলবন্ধন খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়।
পেস্তা শরীরের জন্যেও দারুণ উপকারী। বিশেষ করে নতুন বছরে ওজন কমিয়ে রোগা হতে চাইছেন যাঁরা, চোখ বন্ধ করে তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন পেস্তার উপর। ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ পেস্তা নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বাদাম শরীরে আনবে চনমনে ভাব।
১) অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। স্বাস্থ্যকর এই উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিশ্বজুড়ে নানা কারণে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। মারণরোগের ঝুঁকি কমাতে ডায়েটে রাখতে পারেন পেস্তা। ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি পেস্তার রয়েছে আরও অনেক গুণ। এতে রয়েছে ‘লুটেন’ নামক আরও একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
২) ২৮ গ্রাম পেস্তায় থাকে মাত্র ১৫৯ ক্যালোরি। অন্যান্য বাদামের তুলনায় যা অনেকটাই কম। এতে প্রোটিনের পরিমাণও অনেক বেশি। কাঠবাদাম ছাড়া আর কোনও বাদামে এই পরিমাণ প্রোটিন মেলে না। পেস্তায় অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণও অনেক বেশি। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই অ্যাসিড খুবই কার্যকরী।
নতুন বছরে ওজন কমিয়ে রোগা হতে চাইছেন যাঁরা, চোখ বন্ধ করে তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন পেস্তার উপর। ছবি: সংগৃহীত
৩) পেস্তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা ভুগছেন, সুস্থ থাকতে রোজের পাতে রাখতে পারেন পেস্তা। কোলেস্টেরল ছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই ফল।
৪) অন্যান্য বাদামের তুলনায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকলেও পেস্তা বাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। এই বাদাম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া পেস্তায় উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনল জাতীয় যৌগগুলি রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।