কোন ‘ইউপিআই’-টি সব দিক থেকে বিশ্বস্ত, তা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই। ছবি: সংগৃহীত।
বাণিজ্যক্ষেত্রে লেনদেনে জোয়ার এসেছে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট মেথড’ শুরু হওয়ার পর। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘ইউপিআই’ পেমেন্ট মেথড। স্মার্টফোনে মাত্র কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে টাকাপয়সা আদানপ্রদান করে ফেলা সম্ভব। অনলাইন লেনদেনে যেমন মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জালিয়াতিও। এই চক্রে যুক্তরা প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছে এই সব অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর। সাইবার বিভাগে নিত্যদিন জমা পড়ছে নানা ধরনের আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতেই হয়। তাই এই সব অ্যাপ ব্যবহার করার পাশাপাশি কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১) বিশ্বস্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন
‘প্লে স্টোর’এ নানা ধরনের ‘ইউপিআই’ অ্যাপ রয়েছে। তবে কোনটি সব দিক থেকে বিশ্বস্ত, তা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই। গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকা আপাত ভাবে নিরাপদ বলেই মনে হয়।
২) ‘পিন’ সুরক্ষিত রাখুন
‘এটিএম’ হোক বা ইউপিআই অ্যাপ, তার ‘পিন’ (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) যেন সুরক্ষিত থাকে। কারণ, ‘পিন’ হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই জালিয়াতরা ওঁত পেতে বসে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু দিন অন্তর ‘পিন’ বদলে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৩) টাকা দেওয়ার আগে যাচাই করে নিন
কাউকে টাকা দেওয়ার আগে এই ব্যক্তির নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নিন। একই নামে দু’জন ব্যক্তি থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সাধারণত এক হয় না। তাই ‘ভেরিফাই পেমেন্ট অ্যাড্রেস’ এ গিয়ে তা যাচাই করে, তবেই টাকা পাঠাবেন।
৪) ভুয়ো ফোন বা মেসেজ সম্পর্কে সচেতন থাকুন
ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়ে অনেক সময়ই ফোন বা মেসেজ আসে গ্রাহকদের ফোনে। যা আপাত ভাবে দেখে ভুয়ো বলে মনেই হয় না। সেই সব ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫) ফোন সুরক্ষিত রাখুন
ফোন বা কম্পিউটা্রের মাধ্যমে কিছু কেনাকাটা করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপ অনেক সময়ই কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে ‘সেভ’ করে রাখতে চায়। এই ফাঁদে পা দেওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, ফোন বা ল্যাপটপটি ব্যক্তিগত হলেও অন্তর্জাল ব্যবস্থাটি ব্যক্তিগত নয়।