উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ার মুহূর্ত থেকে জীবনে একটা বদল আনা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা— এমন কিছু কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত হন। আর এই রক্তচাপের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে আরও নানা শারীরিক সমস্যা। ডায়াবিটিস , কোলেস্টেরল তো আছেই, সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাতেই বাড়ে বিপদ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়, আবার তেমন খুব কঠিনও নয়। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ার মুহূর্ত থেকে জীবনে একটা বদল আনা জরুরি। খাওয়াদাওয়াতেও একটা নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করা জরুরি। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। তাতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে করতে হবে শরীরচর্চা। শারীরিক কসরত করলে উচ্চ রক্তচাপ কমানো সম্ভব। রোজ সময় করে শরীরচর্চা করাটা জরুরি। নয়তো ওষুধ খেয়েও রক্তচাপ বশে রাখা মুশকিল হবে। ব্যায়াম করাটা জরুরি, তবে কিছু শরীরচর্চা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নচেৎ সমস্যা হবে। রক্তচাপে ভুগলে কোন ব্যায়ামগুলি একেবারেই করবেন না?
রক্তচাপ ধরা পড়লে শরীরচর্চা করার আগেও সতর্ক থাকা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
ওয়েট লিফ্টিং
এই ধরনের ব্যায়াম হাড় ও পেশি শক্তিশালী করতে খুবই সাহায্য করে। তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ‘ওয়েট লিফ্টিং’-এর অনুশীলন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ এতে রক্তচাপের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
স্প্রিন্টিং
সাইকেল চালানো, হালকা দৌড়াদৌড়ি, হাঁটাহাঁটি সবই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও ‘স্প্রিন্টিং’ না করাই ভাল। এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে। রক্তাপের মাত্রা কমার চেয়ে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
স্কোয়াশউচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূলত যোগাসন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। মাঝেমাঝে অল্প বিস্তর অন্যকিছু হালকা ব্যায়াম করার কথাও বলেন। ‘স্কোয়াশ’ এমন একটি শারীরিক অনুশীলন যা অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কোনও কাজ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।