ত্বকের জৌলুসের জন্য কোলাজেন খুব জরুরি। কোন খাবার কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে? —প্রতীকী ছবি।
ত্বক ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন নামে একপ্রকার প্রোটিন। দেহজ প্রোটিনের ৩০ শতাংশই হল কোলাজেন। ত্বক, পেশি, হাড়, রক্তনালি, বিভিন্ন প্রত্যঙ্গেই কোলাজেন থাকে। ত্বক টানটান করা, মৃত কোষ প্রতিস্থাপন, নতুন কোষ গঠনে কোলাজেনের বিশেষ ভূমিকা থাকে।
তবে বয়স হলে শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। দৈনন্দিন জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, ধূমপান, ক্ষতিকর সূর্যরশ্মির প্রভাব-সহ বিভিন্ন কারণে কোলাজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তেমনটা হলে, ত্বক, চুল যেমন তার ঔজ্জ্বল্য হারাবে, তেমনই সামগ্রিক শরীরেই এর প্রভাব পড়বে। কী ভাবে ঘাটতি পূরণ সম্ভব কোলাজেনের?
ভিটামিন সি: কোলাজেন উৎপাদনে ভিটামিন সি-এর বিশেষ ভূমিকা থাকে। সে কারণে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, সব্জি খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন সি-তে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা শরীর ভাল রাখাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও জিঙ্ক ও কপারে সমৃদ্ধ খাবারও মেনুতে রাখা প্রয়োজনীয়।
জলপান: শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সঠিক ভাবে সম্পাদনের জন্য জল খাওয়া জরুরি। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত দু’-তিন লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। জল খেলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য রক্ষা হয়। পরোক্ষে কোলাজেনের মাত্রা ঠিক রাখতেও জল সাহায্য করে।
সানস্ক্রিন: সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মিতে ত্বক ও চুলে থাকা কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই রোদে বার হওয়ার আগে সানস্ক্রিন মাখলে, এই ক্ষতি আটকানো যেতে পারে। পাশাপাশি ধূমপানের অভ্যাস ছাড়লেও, কোলাজেনের উৎপাদন ঠিক থাকবে।
অ্যামাইনো অ্যাসিড: প্রোলাইন, গ্লিসাইনের মতো উপাদান রয়েছে এমন অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ খাবার রোজকার মেনুতে রাখা দরকার। এই তালিকায় আছে মাশরুম, বাঁধাকপি, মাংস, ডিম, মাছ। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ, সব্জিও খাওয়া প্রয়োজন কপার ও জিঙ্কের ঘাটতি দূর করতে। এই সমস্ত উপাদান কোলাজেনের উৎপাদন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ক্যাপসুল: শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি দূর করতে ক্যাপসুলও পাওয়া যায়। তবে খাবার থেকেই যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেলে, তা দেখা দরকার। কোলাজেনের জন্য ওষুধ খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।