Dinner Time

দীর্ঘায়ু পেতে চান? রাতের খাবার কখন খেলে সেঞ্চুরি করতে পারবেন?

রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার অভ্যাসেই বাড়ছে মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা তেমনটাই বলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪১
Share:

রাতের খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় কখন? ছবি: সংগৃহীত।

অফিস থেকে ফিরতে সন্ধে পার হয়ে যায়। ফেরার পর ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে খানিকটা গল্পগুজব। তার পর আসে রাতের খাওয়ার সময়। তখন ঘড়ির কাঁটা বলছে, বেশ রাত হয়েছে। নিত্যদিন এমন নিয়মেই চলছেন অনেকে। রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার এই অভ্যাসেই বাড়ছে মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা তেমনটাই বলছে।

Advertisement

ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম উৎস হল দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া। কিন্ত আধু্নিক জীবনযাত্রায় এটাই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। কাজের চাপে অনেক সময় খাবার খাওয়ার কথাই মনে থাকে না। ব্যস্ততম জীবনে সেখানে তাড়াতাড়ি নৈশভোজ সেরে নেওয়ার অভ্যাস বিরল বলা চলে। তা ছাড়া মাঝেমাঝেই রেস্তরাঁয় গিয়ে ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে। বিভিন্ন কারণে অনেকেই প্রায় মধ্যরাতে পার করে খাবার খান।

সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। তা়ড়াতাড়ি খেয়ে নিলে হজম ভাল হয়। হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকে না। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও যদি সন্ধ্যার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেন, তা হলে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়াই ভাল। ক্রনিক কিছু শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা কমে তাড়াতাড়ি নৈশভোজের অভ্যাসে।

Advertisement

রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।

সুস্থ থাকতে রাতের খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় কোনটি?

সূর্যাস্তের আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। কিন্তু অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয় না। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিয়েন্টস’ পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দীর্ঘায়ু পেতে হলে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই।

ইঁদুর দৌড়ের জীবনে নিয়ম মেনে চলা সত্যিই খুব দুষ্কর। তবে কিছু নিয়ম না মানলে সুস্থ থাকাও সম্ভব নয়। তার মধ্যে অন্যতম হল, তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার আগেই খেয়ে নেওয়া ভাল। তাতে হজমও দ্রুত হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকিও কমবে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার অভ্যাসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement