তাড়াসন। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক নানা সমস্যা জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়ে়ড তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে হাঁটুর ব্যথা, কোমরে যন্ত্রণাও ভোগায়। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের খেয়াল করলেই দেখা যায়, তাঁরা বসলে উঠতে পারেন না, হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। ব্যথা-বেদনার সমস্যায় অবশ্য ইদানীং কমবয়সিরাও ভোগেন। তবে বার্ধক্যে এই ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠে। শুধু ব্যথা তো নয়, বয়স বাড়লে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। কিন্তু নিয়মিত যদি যোগাসন করা যায়, তা হলে বার্ধক্যেও প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হবে। রোগবালাই সহজে শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারবে না। বয়সকালে ব্যায়াম করার বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, বুড়ো হাড়ে কিছু ব্যায়াম না করাই ভাল। অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে কোন ব্যায়ামগুলি করতে পারেন বয়স্করা?
ভুজঙ্গাসন। ছবি: সংগৃহীত।
তাড়াসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু'পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস নিন। হাত দুটোকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার আঙুল দিয়ে দুটো হাত জড়ান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর দুটো হাত নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালির নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। দু’বার করতে পারেন এই ব্যায়াম।
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু্ মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
সুখাসন
ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপর এবং বাঁ পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে ডান ঊরুর উপর রাখুন। এর পর দুই হাঁটুর উপর দু’হাত টান টান করে রাখুন। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে বসে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকতে পারেন।