প্রোটিন জাতীয় খাবার হজমের সহজ উপায়। ছবি: ফ্রি পিক।
শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়া যেমন জরুরি, তেমনই খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরের শোষণ করাও জরুরি। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে, সঠিক পুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়। আবার শরীর সুগঠিত করতে প্রোটিন খাওয়া জরুরি হলেও, অনেকের তা পরিপাক হতে অসুবিধা হয়। সমস্যা সমাধানে কোন উপায় অবলম্বন করবেন?
চিবিয়ে খাওয়া
গোগ্রাসে খেলে হজমের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। খাবার চিবোলে পাচক রস বার হয়। সে রসই খাদ্য হজমে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খেলে খাবার মণ্ড পাকিয়ে যায়। সেই খাবার পাকস্থলি ও অন্ত্রে পৌঁছলে হজমের পাশাপাশি পুষ্টিগুণ শোষণে সুবিধা হয়।
উৎসেচক
‘বায়োমলিকিউলস’ নামে জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে হজমকারী উৎসেচক যেমন প্রোটিস প্রোটিনকে ভেঙে অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত করতে সাহায্য করে। শরীরে যদি নিজে থেকে পাচনকারী উৎসেচক তৈরি না হয় বা হজমে সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে আম, কলা, পেঁপের মতো ফল খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। এতে থাকা প্রাকৃতিক উৎসেচক হজমে সাহায্য করে।
জল
শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য জল খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত জল খেলে হজমে সহায়ক উৎসেচক বা পাচক রস সঠিকভাবে নিঃসৃত হয়। বিশেষত খাওয়ার আগে জল খেলে, প্রোটিন-সহ সব খাদ্যই হজম ভাল হয়। তা বলে পেট ভর্তি করে জল খাওয়া উচিত নয়।
ভাল ব্যাক্টিরিয়া
অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়ার পাশাপাশি ভাল ব্যাক্টিরিয়াও থাকে। ভাল ব্যাক্টিরিয়া হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে, শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। টক দই খেলে শরীরে ভাল ব্যাক্টিরিয়া প্রবেশ করে। ইয়োগার্ট, পেঁয়াজ, রসুন শরীর পক্ষে ভাল প্রো-বায়োটিক সরবরাহে সাহায্য করে।
উদ্বেগ
অবসাদ, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা অম্বল, গ্যাস, বদহজমের অন্যতম কারণ। মানসিক ভাবে সুস্থ থাকলে হজম নিয়ে সমস্যাও কম হয়। বেশি তেল ঝাল মশলাদার খাবার বাদ দিলে, শরীরচর্চা করলে, উদ্বেগ না থাকলে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যা হল, প্রাথমিক ভাবে এই শর্ত মেনে চলার পরেও কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।