রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঠিক খাদ্যাভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত
ওমিক্রনের তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতা কোভিডের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুলাংশে। কাজেই এই কথা অনস্বীকার্য যে, নানা ব্যবস্থা নেওয়ার পরও কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ। আর কোভিড আক্রান্ত হলে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকদের।
কিন্তু পাশাপাশি এই কথাটিও মনে রাখা দরকার যে, কোভিড বা অন্য যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানেন এ সময়ে কমলালেবু, মুসাম্বির মতো ভিটামিন সি-তে ভরপুর কিছু ফল খেলে শরীরের উপকার হয়। কিন্তু তা ছাড়া প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে আর কী করা যেতে পারে, জানেন কি?
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। সবুজ শাক-সব্জি বিশেষত শীতকালীন বিভিন্ন শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে অত্যন্ত কার্যকর।
২। যাঁরা বাদাম খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা আমন্ড ও আখরোট খেতে পারেন। এতে ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। সব মিলে বাড়ায় প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৩। আদা, রসুন, মিষ্টি আলু এবং আমলকির মতো খাবারগুলি নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খেলেও উপকা মিলবে। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪। মনে রাখবেন, যে কোনও খাদ্যের পরিপাক ও বিপাকের জন্য পর্যাপ্ত জল খাওয়া খুবই দরকার, কাজেই শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয় নজর রাখুন সেই দিকেও। না হলে কোনও খাবারই যথেষ্ট কাজে লাগবে না।
৫। খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও নিয়মিত গরম জলে গার্গল করা জরুরি। ভাইরাস কোনও ভাবে শরীরে প্রবেশ করলেও এই অভ্যাস তার সঙ্গে কিছুটা লড়াই করতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখবেন, এই সব কিছুই ঘরোয়া টোটকা। রোগের প্রকোপ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক।