টিকা দেওয়ার ব্যথায় কষ্ট পায় খুদে। কী ভাবে ব্যথা কমবে তার! ছবি: সংগৃহীত।
যেন জন্মেও শান্তি নেই! জন্মানোর পরই একরত্তিকে প্যাঁক করে ইঞ্জেকশন ফুটিয়ে দেন ডাক্তারকাকুরা। ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠলেও ছাড় নেই। এ যে তার ভালর জন্যই।
নানা ধরনের রোগব্যাধির সংক্রমণ থেকে শিশুকে সুরক্ষা দিতে জন্মের পর দিনক্ষণ মেনে শুরু হয় টিকাকরণ। বিসিজি থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা, দুই বছর পর্যন্ত বেশ ঘন ঘনই ইঞ্জেকশন ফুঁড়তে হয় খুদের শরীরে। টিকাকরণের পর ইঞ্জেকশনের ব্যথা তো রয়েছেই, জ্বরও আসে একরত্তির। খুদের কষ্ট কী ভাবে কমাতে পারেন, জেনে নিন।
স্তন্যপান
টিকাকরণের আগে শিশুকে পেট ভরে মায়ের দুধ পান করিয়ে দিন। পেট ভরা থাকলে খুদে শান্ত থাকবে। এমনকি, ঘুমিয়েও পড়তে পারে। এই সময় টিকা দিলে খুদে অতটা বুঝতে পারবে না। খুদে একটু বড় হলে তার মন অন্য দিকে রাখার জন্য মুখে চুষি দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
মাসাজ
টিকা দেওয়ার আগে ও পরে সেই স্থানটি পরিষ্কার হাতে ১০-২০ সেকেন্ড ম্যাসাজ করুন। এতে ব্যথা কম লাগবে। তবে মনে রাখবেন, খুব বেশি ক্ষণ ধরে বা বেশি চাপ দিয়ে জায়গাটিতে মাসাজ করা যাবে না।
ঠান্ডা সেঁক
ইঞ্জেকশন দেওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পরে ব্যথার জায়গাটিতে বরফের সেঁক দেওয়া যেতে পারে। একটা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে এক টুকরো বরফ জড়িয়ে হালকা হাতে জায়গাটিতে বুলিয়ে দিন।
তরল খাবার
টিকাকরণের পর জ্বর ভাব, গায়ে ব্যথা থাকে। সে কারণে দু-এক দিন তরল খাবার দিতে পারেন। ৬ মাসের কম বয়স হলে মায়ের দুধই দিতে বলা হয়। খুদের বয়স ২ বছর হলে তরল ও হালকা গরম খাবার দু’দিন দেওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
শিশুর ব্যথা বেশি হলে বা জ্বর এসে গেলে বা অন্য কোনও শারীরিক উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। টিকাকরণের পর শিশুর বেশি সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিন।