অ্যালঝাইমার্সের দাওয়াই যোগাসন। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে স্মৃতি অনেক সময় বিশ্বাসঘাতকতা করে। কিন্তু এই সমস্যা যখন বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে, তখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, ভাবতে সমস্যা হয়, একই কথা বার বার বলা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে ডিমেনশিয়া বলে। দূরারোগ্য ডিমেনশিয়ার উদাহরণ হল অ্যালঝাইমার্স। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বজুড়েই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
পশ্চিমোত্তাসন। ছবি: সংগৃহীত।
স্মৃতিশক্তির সমস্যা সাধারণত অ্যালঝাইমার্স রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। শুরুর দিকে অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সদ্য ঘটা কথোপকথন কিংবা ঘটনাগুলি ভুলে যেতে পারেন। জিনিসপত্র ভুল জায়গায় রাখা, স্থান এবং বস্তুর নাম ভুলে যাওয়া, সঠিক শব্দটি ভাবতে সমস্যা হওয়া এবং বারবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকা— কোনও ব্যক্তির এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। তবে শুধু সতর্ক হলেই হবে না। সেই সঙ্গে কয়েকটি ব্যায়ামও করতে হবে নিয়ম মেনে। তাতে উপসর্গগুলি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাড়িয়ে নিজের দুটি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তার পর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের উরুর উপর আনুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কার ভঙ্গিতে সমান ভবে মাথার উপর নিয়ে যান ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন ও পা বদল করে নিয়ে পুনরায় করুন।
পশ্চিমোত্তাসন
এই আসনটি করতে সবার প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক উরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
শবাসন
চিৎ হয়ে শুয়ে পা দু’টি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। দু’টি হাত শরীরের দু’পাশে শরীর সংলগ্ন রাখুন। হাতের তালু দু’টি শিথিল করে রাখুন। চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছু ক্ষণ এই ভাবে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে। অ্যালঝাইমার্সের রোগীদের জন্য এই ব্যায়াম সত্যিই উপকারী।