Child Obesity

শিশুদের স্থূলতা প্রতিরোধ করতে গেলে আগে সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের, জানাচ্ছে গবেষণা

শিশুদের জীবনযাপনের মান কেমন হবে, তা ঠিক করে দেওয়ার দায়িত্ব অভিভাবকদের। ডায়াবিটিস, স্থূলতার মতো রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে আগে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪৭
Share:

শিশুদের মোটা হয়ে যাওয়ার পিছনে হাত রয়েছে কি অভিভাবকদের? — প্রতীকী চিত্র।

এই প্রজন্মের শিশুদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল স্থূলতা। তবে তার জন্য শিশুরা যতটা না দায়ী, তার চেয়ে অনেক বেশি দায় অভিভাবকদের। তাঁদের সচেতনতার অভাবেই শিশুরা ক্রমশ এই রোগের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সমীক্ষা। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এমনই বলছে।

Advertisement

সুইডেনের ‘ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট’-এর একদল গবেষক স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগছে এমন ৪ থেকে ৬ বছর বয়সি প্রায় ২০০ জন শিশুর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, এই সমস্যা বিশাল রূপ ধারণ করার আগেই যদি অভিভাবকদের এই বিষয়ে সচেতন করা যায়, সে ক্ষেত্রে এই রোগের ভয়াবহতা অনেক অংশেই রুখে দেওয়া যায়। গবেষকেরা প্রথমে শিশুদের দু’টি দলে ভাগ করে দেন। প্রথম দলটিতে থাকা শিশুদের ডায়েট এবং শরীরচর্চার উপর বিশেষ ভাবে নজর রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

শিশুদের কী ভাবে সামাল দিতে হয় সেই বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। —প্রতীকী চিত্র।

অন্য দলটিতে থাকা শিশুরা যে ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত, সেই ধারাই অব্যাহত রাখতে বলা হয়। পেডিয়াট্রিক সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক এবং এই সমীক্ষার মূল তদন্তকারী, গবেষক পওলিনা নোওয়িকা বলেন, “সমস্যা জাঁকিয়ে ধরার আগেই পরিবারের সকলের সঙ্গে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্য আসলে তাঁদের বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সচেতন করা। ঠাকুরমা, দিদিমাদের কাছে বড় হওয়া এই প্রজন্মের শিশুদের কী ভাবে সামাল দিতে হয়, কী ভাবে গণ্ডি টেনে দিতে হয়, সেই বিষয়ে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন।”

Advertisement

বয়স্কদের কাছে বাড়ির খুদেরা বড়ই আদরের। কিন্তু তাঁদের প্রজন্মের সঙ্গে এই প্রজন্মের ফারাক তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, স্থূলতার মতো নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাবও বেড়েছে। তাই শিশুদের সচেতন করার আগে পরিবারের অন্য সকলের এই বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখা প্রয়োজন। স্থূলতার মতো রোগ প্রতিরোধ করতে ঘরে-বাইরে শিশুদের কী রকম ভাবে থাকা উচিত, সেই বিষয়ে ক্রমাগত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রথম থেকেই একটি পরিসর তৈরি করে দিতে হবে। যেখানে খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সবই থাকবে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement