স্মৃতিশক্তির সমস্যা সাধারণত ডিমেনশিয়া রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। ছবি: শাটারস্টক।
ভুলো মন নিয়ে অনেকেই নানা রকমের ব্যঙ্গ করে থাকেন। কিন্তু স্মৃতিভ্রম কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। ল্যানসেট পত্রিকার তথ্য বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হবেন প্রায় এক কোটি চোদ্দ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ২০১৯ সালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতবর্ষে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৮ লক্ষ। অর্থাৎ, মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় দুশো শতাংশ।
সামগ্রিক বা আংশিক স্মৃতিশক্তি লোপ, কার্যকারণ সম্পর্কযুক্ত ভাবনাচিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া বলা হয়। সবচেয়ে বহুল ও দুরারোগ্য ডিমেনশিয়ার উদাহরণ হল অ্যালঝাইমার্স।
বাড়তি বয়সে কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে?
১) স্মৃতিশক্তির সমস্যা সাধারণত ডিমেনশিয়া রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। শুরুর দিকে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সদ্য ঘটা কথোপকথন কিংবা ঘটনাগুলি ভুলে যেতে পারেন। জিনিসপত্র ভুল জায়গায় রাখা, স্থান এবং বস্তুর নাম ভুলে যাওয়া, সঠিক শব্দটি ভাবতে সমস্যা হওয়া এবং বার বার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকা— কোনও ব্যক্তির এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।
সময় ও তারিখ মনে রাখতে না পারাও এই রোগের লক্ষণ।
২) তা ছাড়া দষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসা, কথার মধ্যে সাযুজ্য না থাকা এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ের সঙ্কেত হতে পারে। সময় ও তারিখ মনে রাখতে না পারাও এই রোগের লক্ষণ। রঙের পার্থক্য বুঝতে না পারা, দুরত্ব বুঝতে অসুবিধা, গাড়ি চালাতে সমস্যা এই সবই কিন্তু ডিমেনশিয়া রোগের লক্ষণ।
৩) বাড়ির বয়স্ক সদস্য রাস্তায় বেরিয়ে বার বার পড়ে যাচ্ছেন? বাড়ির কোনও সদস্য রাস্তায় বেরোনোর পর বার বার দুর্ঘটনার কবলে পড়লে একটু সচেতন হন। এমনটা কিন্তু ডিমেনশিয়ার লক্ষণ।
৪) হঠাৎ হেসে কথা বলছেন পর মুহূর্তেই আবার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে! বাড়তি বয়সে মাঝেমধ্যেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হন মানুষ। এমনটা ঘন ঘন হলে কিন্তু সচেতন হতে হবে।
৫) বাজারে গিয়ে সামান্য হিসাব করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন? কিছুতেই যোগটা মেলাতে পারছেন না? এমনটা হলেও কিন্তু সাবধান হতে হবে।