ছবি: সংগৃহীত
সকালে উঠে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে ঘুম কাটতে চায় না বাঙালির। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা শরীর ভাল রাখতে দুধ চায়ের বদলে চুমুক দেন লিকার চায়ে। কালো চা যাঁরা খান তাঁরা সাধারণত দু’ধরনের চা কেনেন। পাতা চা, না হলে গুঁড়ো চা। কড়া লিকার খেতে যাঁরা বেশি পছন্দ করেন, তাঁদের প্রথম পছন্দ গুঁড়ো চা। আর চায়ের সুগন্ধ পেতে চাইলে সে ক্ষেত্রে পাতা চা কেনাই ঠিক হবে। তবে এই দুই ধরনের চায়ের স্বাস্থ্যগুণ কিন্তু সমান নয়।
গুঁড়ো চা এবং পাতা চা— শরীরের জন্য কোনটি বেশি উপকারী?
এই দু’ধরনের চা পাতা কী ভাবে প্রস্তুত করা হয়, তার উপর চায়ের গুণগত মান অনেকটাই নির্ভর করে। গুঁড়ো চা প্রস্তুত করতে সময় কম লাগে। বাগান থেকে তোলার পরে যন্ত্রের মাধ্যমে চা পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। চা পাতার বেশ কিছু উপাদান এতে থেকে যায়। ফলে অনেক সময় গুঁড়ো চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায়। অন্য দিকে, পাতা চা প্রস্তুত করতে অনেকটা বেশি সময় লাগে। পাতা চায়ে ক্যাটেচিন, আইসোফ্লাভন, পলিফেনলের মতো যৌগ থাকে। গুঁড়ো চায়ে ক্যাটেচিন, আইসোফ্লাভনের মাত্রা খুব কম। পলিফেনলের পরিমাণ অবশ্য গুঁড়ো চায়ে পাতা চায়ের মতোই থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুঁড়ো চায়ের চেয়ে পাতা চা কিন্তু বেশি উপকারী।
পাতা চা হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতেও সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
পাতা চায়ে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা গুঁড়ো চায়ের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করতে বেশি সহায়ক পাতা চা।
পাতা চা হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমাতেও সাহায্য করে। গুঁড়ো চায়ের এমন বিশেষ কোনও স্বাস্থ্যগুণ নেই। পাতা চা স্নায়ু শান্ত রাখে। বাড়তি উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। গুঁড়ো চা অল্প পরিমাণে হলেও স্নায়ুর উত্তেজনা বা়ড়িয়ে দেয়।
পাতা চায়ে ট্যানিনের পরিমাণ তুলনায় কম থাকে। ফলে ভাল ঘুম হতেও সাহায্য করে। কিন্তু গুঁড়ো চায়ে ট্যানিনের পরিমাণ খানিক বেশি। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে গুঁড়ো চা। অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে গুঁড়ো চা খাওয়ার অভ্যাসে। পাতা চা খাওয়ার অভ্যাসে সেই আশঙ্কা অনেক কম।