বদহজম হলে গরম জলে এক চামচ লেবুর রস এবং একটু আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। ছবি- সংগৃহীত
পুজোর ক’টাদিন প্রায় রোজই বাইরে খাওয়া লেগে থাকে। সকালে পুজোর ভোগ খেয়ে হজম হতে না হতেই রাতে কোথায় খাবেন, কী কী খাবেন তার পরিকল্পনা তৈরি। তার উপর ঠাকুর দেখতে গিয়ে গরমে ঘেমে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। সেই সঙ্গে রাত জাগা, জল কম খাওয়া তো আছেই। ফল স্বরূপ বদহজম, বুকজ্বালা, চোঁয়া ঢেকুরের বাড়-বাড়ন্ত। এ দিকে মুখে কাউকেই বলতে পারছেন না যে, এত অত্যাচার পেট সহ্য করতে পারছে না। সাময়িক কষ্ট লাঘব করতে ঠাকুর দেখার লাইনে হাঁটতে হাঁটতেই ঠান্ডা নরম পানীয় খেতে শুরু করলেন। আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা সে সব না খেয়ে বাড়ি ফিরেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল নিয়ে, ঢক ঢক করে খেয়ে ফেললেন। কারণ অনেকেই মনে করেন, শরীর খারাপ যেমনই হোক, জলই সব রোগের ওষুধ। কিছু ক্ষেত্রে সে কথা একেবারে ফেলে দেওয়ার নয়। তবে, বদহজম বা অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রে ঠান্ডা জল খাওয়া কতখানি বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা অনেকেই হয়তো জানেন না।
বদহজম বা অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রে ঠান্ডা জল খাওয়া বিপদজ্জনক। ছবি- সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞদের মতে, অম্বল বা অ্যাসিডিটি হলে যে কোনও ঠান্ডা পানীয় খাওয়াই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে রক্তবাহিকাগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। রক্ত সঞ্চালনও বিঘ্নিত হয়। খাবারের থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীর গ্রহণ করতে পারে না।
তা হলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েও কি ওষুধের দোকান খুঁজতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে গরম পানীয়। বাড়ি ফিরেই এক গেলাস হালকা গরম জলে এক চামচ লেবুর রস এবং একটু আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। তৎক্ষণাৎ আরাম পেতে এই টোটকা অব্যর্থ।
ভাবছেন, রাস্তায় গরম জল, লেবু, আদা এসব কোথায় পাবেন?
সে ক্ষেত্রে আপনার অস্ত্র হল চা। চিনি এবং দুধ ছাড়া আদা অথবা লেবু দেওয়া চা খেলেও একই ফল মিলবে।