পুজোর সময়ে অনিয়মের মাঝেও শরীরের একটু যত্ন তো নিতেই হবে। ছবি- সংগৃহীত
পুজোর আগে জিমে দীর্ঘ ক্ষণ ঘাম ঝরিয়ে আর কড়া ডায়েট মেনে অনেক কষ্টে পাঁচ কেজি মতো ঝরাতে পেরেছেন। তাতেই বেজায় খুশি আপনি! তবে যত কষ্টে মেদ ঝরিয়েছেন, পুজোর সময়ে সামান্য অনিয়মেই ফের বেড়ে যেতে পারে ওজন। ওজন কমাতে আমরা যত পরিশ্রম করি, ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখার জন্য তেমন ভাবি না! আর তাতেই হয় বিপত্তি। তাই পুজোর সময়ে অনিয়মের মাঝেও শরীরের একটু যত্ন তো নিতেই হবে। ভাবছেন পুজোতে ডায়েট আবার কে করে? ডায়েটের কথা বলা হচ্ছে না, কিছু টোটকা মেনে চললেই ধরে রাখতে পারেন ফিট চেহারা।
১০ মিনিট বালকা ব্যায়াম
পুজোয় ভাল-মন্দ খাবেন না, এমনটা তো আর হয় না। তবে খাওয়াদাওয়ায় রাশ না টানলেও পুজোতে হালকা ব্যায়াম কিন্তু করতেই হবে। খুব বেশি নয়, শরীরচর্চার জন্য মিনিট দশেক সময় বরাদ্দ করলেই হবে।
মিষ্টিতে লাগাম
পুজো মানেই মিষ্টিমুখ ‘মাস্ট’! ওজন বাগে রাখতে হলে মিষ্টি খেতে হবে একটু প্ল্যান করে। কোনও বুফে রেস্তরায় পুজোর ভোজ সারতে গেলে অতিরিক্ত মিষ্টি খেয়ে ফেলবেন না। একান্তই যদি মিষ্টি খেতে হয়, তা হলে ‘মেন কোর্স’-এর লাগাম টানতে হবে।
মদ্যপান করলে জিন-টনিকের মতো হালকা মদ বাছাই করাই শ্রেয়। ছবি-প্রতীকী
মদ্যপানে লাগাম
উৎসবের মরসুমে মদ্যপান চলতেই পারে। তবে খুব বেশি নয়! বেশি মাত্রায় মদ্যপান করলে ওজন বেড়ে যেতেই পারে। তাই এই সময়ে মদ্যপান করলে জিন-টনিকের মতো হালকা মদ বাছাই করাই শ্রেয়।
ফল খান
পুজো আসতে যে ক’টা দিন বাকি, সে ক’দিন আপনার ডায়েটে বেশি করে ফল রাখুন। বিশেষ করে জল বেসি মাত্রায় রয়েছে, এমন ফল খাওয়া ভীষণ ভাল। পুজোতে ভাজাভুজি খাওয়া হবেই, তাই এ ক’টা দিন কম তেলমশলাদার খাবার খাওয়াই ভাল।
অনুতাপ রাখবেন না
পুজোয় খাওয়াদাওয়ার সময় মনে কখনও অনুতাপ রাখবেন না। নইলে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে আর আপনি আরও বেশি খাওয়ার দিকে ঝুঁকবেন। মাথায় রাখবেন পুজোয় ভাল-মন্দ খেলেও পুজোর পর জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।