পুজোয় ফিট থাকতে নিয়ম করে অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চা করুন। ছবি- সংগৃহীত
দোরগোড়ায় পুজো। রাত পোহালেই মহালয়া। দেবীপক্ষের হাত ধরে উৎসবের শুরু। গোটা একটা বছরের প্রতীক্ষার অবসান। মন-প্রাণ ঢেলে উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন সকলে। প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। কিন্তু তা-ও যেন শেষ হচ্ছে না। ডায়েট করে, সারা ক্ষণ জিমে কাটালেও আশানুরূপ চেহারা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তার চেয়ে বরং পুজোর দিনগুলিতে নিজেকে কী ভাবে ফিট রাখবেন, তা নিয়ে ভাবুন। এখন থেকেই বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে পুজোয় ফিট থাকার দৌড়ে নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবেন আপনি।
ভিতর থেকে ফিট থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াটা জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
পর্যাপ্ত ঘুম
পুজো মানেই রাতজাগার পালা। সারা রাত ধরে ঠাকুর দেখা। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। সব মিলিয়ে বেজায় ধকল। তার জন্য ভিতর থেকে ফিট থাকা প্রয়োজন। অল্পেতেই দুর্বল হয়ে পড়লে কিন্তু চলবে না। এখন যতটুকু ফাঁকা সময় পাচ্ছেন, ঘুমিয়ে নিন। ঘুমের ঘাটতি কিন্তু চেহারাতেও প্রভাব ফেলে। রূপটান করেও ত্বক ম্লান লাগতে পারে, যদি ঘুম ঠিকঠাক না হয়। রাতে ঘুম ঠিক হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। না হলে কেন হচ্ছে না, খুঁজে দেখুন। মোট কথা, ঘুম হওয়াটা জরুরি।
নিয়ম করে শরীরচর্চা
রোজ কিছু ক্ষণের শারীরিক কসরত চনমনে রাখতে সাহায্য করবে। পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে গেলে হাঁটা ছাড়া গতি নেই। তবে উৎসবের আলোয় মোড়া শহরে হাঁটতে মন্দ লাগে না। সে জন্য ফিট থাকতে হবে। কিছু দূর যাওয়ার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে চলবে না। নিয়ম করে অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চা করুন।
সুষম খাবার খাওয়া
পুজোর সময় বাইরের খাওয়াদাওয়া চলবেই। পেট ঠিক রাখা প্রয়োজন। উৎসব শুরু হওয়ার আগে থেকেই যদি তেল-মশলাদার খাবার খেতে শুরু করেন তা হলে মুশকিল। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে একটু বুঝেশুনে খেতে হবে। বেশি করে সব্জি খান। এই সময় বাড়ির তৈরি খাবারেই ভরসা রাখুন। বেশি করে জল খান। এতে শরীর ও পেট— ভাল থাকবে দুই-ই।