পুজোয় খাওয়াদাওয়ার পরেও পেট সুস্থ থাক। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানেই ভূরিভোজ। বাইরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া হোক কিংবা বাড়িতেই জমিয়ে পেটপুজো— খাবার ছাড়া উৎসব অসম্পূর্ণ। পুজোর সময় রেস্তরাঁগুলিতে তো বটেই, বাড়ির রান্নার ধরনও বদলে যায়। বেশি তেল-ঝাল-মশলা দিয়ে না রাঁধলে খেতেও মন চায় না। ভোজনরসিক বাঙালির খাবারের প্রতি প্রেম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দু’টোই আছে। খাওয়াদাওয়ায় একটু অনিয়ম হলেই শুরু হয়ে যায় পেট ফাঁপা, বুক জ্বালার মতো সমস্যা। পুজোর সময় এমন হলে আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়।
অনিয়ম হবে ভেবে অনেকেই খালি পেটে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেন। তাতে সাময়িক সুস্থ থাকা গেলেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। চিন্তা থেকেই যায়। তবে উৎসবের সময় চাঙ্গা থাকতে কিন্তু শুধু ওষুধের উপর ভরসা করলে চলবে না। কিছু পানীয় রয়েছে, যেগুলি গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কয়েক মুহূর্তে কমিয়ে দিতে পারে।
১) গরম জলে আধ চা চামচ আদা গুঁড়ো, আধ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো, আধ চা চামচ মৌরি গুঁড়ো আর সামান্য হিং মিশিয়ে দিনে দু’বেলা খান। গ্যাসের সমস্যায় স্বস্তি পাবেন।
২) গ্যাসের সমস্যায় রসুন দারুণ উপকারী। রসুন, লবঙ্গ, জিরে ও গোলমরিচ একসঙ্গে থেঁতো করে নিন। এ বার গরম জলে দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। তার পর ছেঁকে খেয়ে নিন। গ্যাসের সমস্যা দূর করতে এই পানীয় বেশ উপকারী।
৩) পুদিনা পাতা দিয়ে দইয়ের ঘোলও গ্যাসের সমস্যা মেটাতে কাজে আসে। যাঁরা সারা বছর গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা সারা দিনে এক বার ঘোল খেতেই পারেন। উপকার পাবেন।