লিভার ভাল রাখবে এইসব পানীয়। ছবি: ফ্রিপিক।
খাদ্যাভাসে অনিয়ম এবং শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। অতিরিক্ত তেলমশলা, ঘি, মাখন দেওয়া খাবার, অ্যালকোহল নিয়মিত খেলে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে। লিভারের ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেই স্বাভাবিক এই কাজগুলি ব্যাহত হয়। লিভারের অসুখ তো বটেই, তার সঙ্গে হানা দিতে অন্যান্য রোগও। মূত্রথলির ক্যানসার থেকে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার— সবেরই গোড়ার কারণ লিভার। এমনকি কিডনির বিভিন্ন জটিল অসুখের নেপথ্যেও রয়েছে লিভার। কাজেই লিভারকে সুস্থ রাখা খুব জরুরি। আর সে কারণে লিভার ‘ডিটক্স’ করতে হবে, অর্থাৎ লিভার থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে হবে। তার জন্য কিছু পানীয় আছে যা খুবই কার্যকরী হতে পারে।
১) অ্যালো ভেরা জুস
অ্যালো ভেরায় অ্যালোইন নামে প্রোটিন আছে যা শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। দিনের যে কোনও সময়ে খেতে পারেন অ্যালো ভেরার জুস। অ্যালোভেরায় ভিটামিন, এ, সি ও ই থাকে যা লিভার ভাল রাখে।
২) গাজরের রস
শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই মরসুমি ফল-সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দেন। খাওয়ার পাতে স্যালাড হিসাবে কাঁচা গাজর অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন গাজরের স্মুদি। এই গরমে পেট ঠান্ডা তো রাখবেই, হজমশক্তিও বাড়াবে। ভিটামিন এ, সি, কে এবং পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ গাজর চোখের জন্যও ভাল। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে, ক্যানসার প্রতিরোধ করতে, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৩) লেবুর রস
আপেল আর আঙুরের থেকেও পটাশিয়াম বেশি পাতিলেবুতে। ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম— কী নেই! সকালে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। লিভার ভাল থাকবে।
৪) পুদিনা ও শশার শরবত
শশার শরবত খুবই উপকারি। পুদিনা দেওয়া শশার রস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শরীর টক্সিন-মুক্ত করতে এই জুসের কোনও বিকল্প নেই। শশাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও বিভিন্ন রকম খনিজ লবণ। স্মুদির মতোই বানিয়ে নিতে পারেন শশার শরবত। প্রতি দিন খালি পেটে পান করলে ওজনও কমবে।
৫) হলদি চা
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামে এক উপাদান, যা একাই নানা শারীরিক অসুস্থতার দাওয়াই হতে পারে। হাজারেরও বেশি বছর ধরে এশিয়ায় হলুদের ব্যবহার শুধু মশলা হিসেবে নয়, ওষুধ হিসেবেও। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, লিভার ভাল রাখে।