Acidity Remedies

বদহজমের ভয়ে দোলের ভূরিভোজ থেকে দূরে থাকবেন? এক পানীয়তে চুমুক দিলেই পাবেন নিস্তার

অনেকেই সারা বছর ধরে গ্যাস-অম্বলের রোগে ভোগেন। আর সারা বছরই টুকটাক ওষুধ খেয়ে ফেলেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। আপনার অজান্তেই শরীরে বড় কোনও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১২:০২
Share:

সারা বছর ডায়েট করলেও উৎসবের দিনগুলিতে কব্জি ডুবিয়ে পাঁঠার মাংস না খেলে উদ্‌যাপন যেন সম্পূর্ণ থেকে যায়। ছবি: শাটারস্টক।

দোল উদ্‌যাপনে জমিয়ে ভূরিভোজ না হলে কী চলে? সারা বছর ডায়েট করলেও উৎসবের দিনগুলিতে কব্জি ডুবিয়ে পাঁঠার মাংস না খেলে উদ্‌যাপন যেন সম্পূর্ণ থেকে যায়। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে আবার হদমে গোলমাল! বলে অ্যাসিডিটির ওষুধ ছাড়া স্বস্তি নেই। ঘন ঘন অ্যান্টাসিড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যে মোটেও ভাল নয়।

Advertisement

অনেকেই সারা বছর ধরে গ্যাস-অম্বলের রোগে ভোগেন। আর সারা বছরই টুকটাক ওষুধ খেয়ে ফেলেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। আপনার অজান্তেই শরীরে বড় কোনও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো?

বাড়িতে বানানো টোটকাতেই বিদায় জানাতে পারেন গ্যাস-অম্বলের সমস্যাকে! দু’টি সহজলভ্য উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’। এই পানীয় কেবল গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেই নয় আপনাকে রেহাই দেবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও। জেনে নিন কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়।

Advertisement

প্রণালী:

২ টেবিল টামচ জিরে আর ১ টেবিল চামচ জোয়ান একসঙ্গে মিশিয়ে আধ লিটার জলে ভিজিয়ে রেখে দিন সারা রাত। ভাল করে ছেঁকে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলটি খেয়ে নিন। এ ছাড়াও সকালে চায়ের বদলেও এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’ পান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে গ্যাসে ফুটিয়ে নিন যত ক্ষণ পর্যন্ত জল পরিমাণে অর্ধেক না হয়ে যায়। স্বাদ বাড়ানোর জন্য খানিকটা কুচোনো আদা, লেবু আর মধুও যোগ করতে পারেন। সকালে চায়ের বদলে এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’ পানের অভ্যাস আপনার পেটের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে দ্রুত।

জিরে-জোয়ানের জল কিন্তু ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াকেও তরান্বিত করতে সাহায্য করে। ছবি: শাটারস্টক।

কী ভাবে কাজ করে এই পানীয়?

জিরে আর জোয়ানে আছে বেশ কয়েকটি ঔষধি গুণ। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে এই উপকরণ দু’টির ব্যবহার চলে আসছে। জোয়ানের জল আপনার পাকস্থলী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এই পানীয় বিপাক হার বাড়িয়ে তোলে, একই সঙ্গে পেটের নানা সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়। জোয়ানের জল কিন্তু ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াকেও তরান্বিত করতে সাহায্য করে। জিরেতে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিরের জল খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে আর ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। শরীরের টক্সিক পদার্থগুলি বের করতেও জিরের জল বিশেষ কার্যকরী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement